সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা। শুটিংয়ে গিয়ে বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমন খান, সইফ আলি খান, টাবু, নীলম-সহ একাধিক বলি তারকার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করবে যোধপুর আদালত। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন তারকারা। মামলা ঘিরে মানুষের মধ্যেই তুমুল উত্তেজনা। তাই আদালত চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েক পরত।
[ প্রতারণার অভিযোগ জন আব্রাহামের বিরুদ্ধে, থানায় দায়ের এফআইআর ]
অক্টোবর, ১৯৯৮। চলছিল ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং। যোধপুরে সেই শুটিং চলাকালীনই কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। একই দায়ে পড়েন সইফ আলি খান, টাবু, নীলম-সহ একাধিক তারকা। প্রায় কুড়ি বছর আগের ঘটনা। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ এই হরিণকে সন্তানস্নেহেই পালন করেন, রক্ষাও করেন। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্য থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সলমন। গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সলমন চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপরই সলমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। যদিও বারবার নিজেকে নির্দোষ বলেছেন সলমন। এমনকী তাঁর আইনজীবীর দাবি ছিল, বন্দুক দিয়েই যে হরিণটিকে হত্যা করা হয়েছে এরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি। মৃত হরিণের দেহে কোনও বুলেটও পাওয়া যায়নি বলে দাবি তাঁর। প্রায় দু-দশক ধরে নানা উত্থান পতন হয়েছে ওই মামলার। অবশেষে আজ হবে রায় ঘোষণা।
ইতিমধ্যেই এই উপলক্ষে যোধপুরে হাজির হয়েছেন তারকারা। আদালত চত্বরের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েক গুণ। মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশবাহিনী। দোষী সাব্যস্ত হলে সলমন খানের সাজা হতে পারে সর্বোচ্চ ছয় বছরের কারাদণ্ড।
The post কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার রায়দান, কড়া নিরাপত্তা যোধপুর আদালত চত্বরে appeared first on Sangbad Pratidin.