সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক একটা দিন থাকে, যা আমাদের নির্দিষ্ট করে বিশেষ একজনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
এই কথাটা বললেই একটা কূটকচালি প্রশ্ন উঠতে পারে। বাবা আমাদের জীবনে কী এবং কতটা, তা উপলব্ধি করার জন্য কি ইন্টারন্যাশনাল ফাদার্স ডে-র মতো একটা দিনের প্রয়োজন হয়?
অবশ্যই হয় না।
কিন্তু, তার পরেও কিছু কথা থেকে যায়। ভেবে দেখুন তো, আপনি কতটা সময় এখন আপনার বাবাকে দিতে পারেন?
আসলে, আমরা সবাই এখন যে যার মতো নিজের দুনিয়ায় ব্যস্ত। ইচ্ছে থাকলেও তাই বাড়ির বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। সবাই জানি, এই আজ যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আমরা এত কিছু করে উঠতে পারছি, তার ভিতটা মা আর বাবারই তৈরি করে দেওয়া। তাঁরা ছিলেন, তাই আমরাও আজ একটা সুরক্ষার মধ্যে রয়েছি। বরাবর থেকে এসেছি!
আমাদের মতো এই একই অবস্থা কিন্তু সেলিব্রিটিদেরও! তাঁরাও ব্যস্ত নিজেদের কাজ নিয়ে। সেই জায়গা থেকেই আজকের দিনটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সবার কাছে।
টুইটারে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে বাবাকে নিয়ে সেলিব্রিটিদের নানা মুহূর্তের টুকরো-টাকরা!
অনুষ্কা শর্মা যেমন ফিরে গিয়েছেন ছোটবেলায়। পোস্ট করেছেন বাবার কোলে থাকা একটা ছবি। লিখেছেন, ”আমার জীবনের সব চেয়ে বড় হিরো, প্রেরণা এবং একমাত্র সেই ব্যক্তি যাঁর দায়িত্ববোধ এই আজকের আমিকে গড়ে তুলেছে”।
একই জায়গায় দাঁড়িয়ে শচীন তেণ্ডুলকরও! বাবার সঙ্গে সাদা-কালো ছবিটায় দেখা যাচ্ছে এক কোলের শিশুর উচ্ছ্বাস। লিখেছেন শচীন, ”ইনিই সেই ব্যক্তি যাঁর দিকে আমি সব সময়ে তাকিয়ে থাকতাম এবং যাঁর মতো হতে চাইতাম”।
আবার, হুমা কুরেশির টুইটে ধরা দিয়েছে অনাবিল উচ্ছ্বাস। তিনি কোনও ছবি পোস্ট করেননি। শুধু লিখেছেন, ”আমার বাবা সবার সেরা। গত রাতে তিনি ফ্লাইট ধরে চলে এসেছেন আমার কাছে। জানি না, ফাদার্স ডে-র ব্যাপারটা তাঁর মনে ছিল কি না! বাবা তো এই সব দিন-টিনকে খুব একটা পাত্তা দেন না! তবে হ্যাঁ, এটা তাঁর চেয়ে ভাল আর কেউই জানেন না, কী ভাবে শুধু উপস্থিতিতেই একটা ঘর আলোকিত করে তুলতে হয়! বাবাই আমার আইডল”!
অনেকটা এক সুর ধরা পড়েছে অর্জুন কাপুরের টুইটে। বাবা বনি কাপুরের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন তিনি, ”উনি আমায় কোনও দিন সঠিক ভাবে বেঁচে থাকার মন্ত্রটা বলে দেননি! শুধু সঙ্গে থেকেছেন আর আমায় সেই রাস্তাটা নিজেকে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন”।
বরুণ ধাওয়ানের টুইটেও মিশে আছে বাবার প্রতি নির্ভরতা। বাবার কোলে শুয়ে থাকা একটা ছবি পোস্ট করেছেন বরুণ। লিখেছেন, ”বাবা, আমার সঙ্গে থাকার জন্য তোমায় অজস্র ধন্যবাদ! পাশাপাশি, সবাইকে ফাদার্স ডে-র শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি নায়ক”।
সোনাক্ষী সিনহার টুইট অবশ্য খুব সাদামাটা। বাবাকে জড়িয়ে ধরে একটা ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। লিখেছেন, ”হ্যাপি হ্যাপি ফাদার্স ডে!”
তবে, সবার বাবা তো আজ তাঁদের সঙ্গে নেই! প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই মৃত্যু রচনা করে দিয়েছে দূরত্ব। সেই না থাকার মন খারাপও উঠে এসেছে সেলিব্রিটিদের টুইটে। মাধুরী দীক্ষিত নেনে লিখেছেন, ”আজ বাবাকে খুব মিস করছি! তবে জানি, উনি যেখানেই থাকুন, আমার সঙ্গেই থাকবেন! ঠিক যেমনটা সারা জীবন ছিলেন”!
ফারহা খানের মনকেমনও সাফ ধরা দিয়েছে টুইটে- ”জানি না স্বর্গে টুইটার আছে কি না! যদি থাকে, তবে এই টুইটটা শুধু তোমার জন্য বাবা! আমি রোজ তোমায় মিস করি”!
এই সব টুইটের ভিড়ে খুব অন্য রকম এক মুহূর্ত রচনা করেছেন সোনম কাপুর আর অক্ষয় কুমার। সোনম বাবাকে নিয়ে কোনও ছবি বা লেখালেখির মধ্যে যাননি। বরং, অনিল কাপুরের অবসেশনের প্রশংসা করেছেন প্রাণ খুলে।
আর অক্ষয় কুমার?
তাঁর টুইট মাত দিয়েছে সকলকে! অক্ষয় বাবাকে নিয়ে কোনও কিছু পোস্ট করেননি। বরং, খুব তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন পিতৃত্ব। ছেলেকে নিয়ে পোস্ট করেছেন একটা রাফ অ্যান্ড টাফ ছবি। সঙ্গে লিখেছেন, ”ওকে হোঁচট খেতে দেখা, লড়াই করা এবং এই ভাবে এক খুব ঠিকঠাক মানুষ হয়ে ওঠা দেখাটাই আসল আনন্দ”!
ভারতীয় টেনিস দুনিয়ার সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোর মধ্যে একটি লিয়েন্ডার পেজ। তাঁর ঝুলিতে ১৮ টা গ্র্যান্ড স্লাম। বাবা না থাকলে কি আর এসব সম্ভব হত? তাই ফাদার্স ডে-তে আরও একবার বাবাকে ধন্যবাদ জানালেন কিংবদন্তি।
হরভজন সিংয়ের বাবা অনেক দূরে। ইহজগতের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাঁকে ছুঁতে ইচ্ছে করলেও পারেন না ভাজ্জি। তবে জানেন, বাবা দূর থেকেও তাঁর ওপর নজর রেখে চলেছেন। এদিন বাবাকে জানিয়ে দিলেন, তিনিও রোজ মিস করেন বাবাকে।
যখনই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাইনা নেহওয়াল। তাঁদের আশীর্বাদ ছাড়া যে সাফল্য সম্ভবই নয়! তাই এই বিশেষ দিনে বাবার সঙ্গে টুইটারে ছবি পোস্ট করলেন হায়দরাবাদি শাটলারও।
আর কী বা বলার থাকতে পারে!
হ্যাপি ফাদার্স ডে!
The post বাবার সঙ্গে সেলিব্রিটিরা! appeared first on Sangbad Pratidin.