shono
Advertisement

‘সবচেয়ে বড় চ‌্যালেঞ্জ ছিল গানে লিপ দেওয়া’, ‘তানসেনের তানপুরা’নিয়ে অকপট বিক্রম

পরের প্রজেক্ট নিয়েও মুখ খুললেন বিক্রম। The post ‘সবচেয়ে বড় চ‌্যালেঞ্জ ছিল গানে লিপ দেওয়া’, ‘তানসেনের তানপুরা’ নিয়ে অকপট বিক্রম appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:45 PM Jul 02, 2020Updated: 06:49 PM Jul 02, 2020

সম্প্রতি ‘হইচই’-তে মুক্তি পেয়েছে ‘তানসেনের তানপুরা’। ট্রেজার হান্টের কাহিনি। যার অন্যতম প্রধান চরিত্রে বিক্রম চট্টোপাধ‌্যায়। মোবাইলে ধরা দিলেন তিনি। শুনলেন শম্পালী মৌলিক

Advertisement

লকডাউনে প্রায় তিনমাস আটকে ছিলেন মুম্বইয়ে। সেখান থেকে ফেরার কিছুদিন পরেই ‘হইচই’-তে আপনার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘তানসেনের তানপুরা’ মুক্তি পেল। সেটা কতটা আনন্দের?
বিক্রম: খুব খুশি আমি। আড়াই-তিনমাস আমরা যে শুধুমাত্র বাড়ি বসেছিলাম তা নয়। কাজ নিয়ে সমস‌্যা আমাদের সকলের জীবনেই দেখা দিয়েছিল। যে আবার কাজে কবে ফিরব। কী কাজ আসবে, ইত‌্যাদি। আমরা সবাই জানি সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। ফলে চিন্তা আছেই। সেখানে বাড়ি ফেরা মাত্রই খুব বড় করে ‘তানসেনের তানপুরা’ রিলিজ হল। অ‌্যাম ভেরি হ‌্যাপি।

‘তানসেনের তানপুরা’র ফিডব‌্যাক কেমন?
বিক্রম: খুব পজিটিভ। ভাল রিভিউ পাচ্ছি। দর্শকের প্রতিক্রিয়াও দারুণ। মাত্র পাঁচ-ছ’দিনে এত ভাল ফিডব‌্যাক আমরাও আশা করিনি।

[ আরও পড়ুন: ‘বুলবুল’ ছবিতে ‘কলঙ্কিনী রাধা’ গানে হিন্দুধর্মের অপমান! Netflix বয়কটের ডাক হিন্দুত্ববাদীদের ]

আপনার টেলিভিশনের দারুণ জনপ্রিয়তা কি এক্ষেত্রে একটা ফ‌্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে?
বিক্রম: যে কোনও অভিনেতার জনপ্রিয়তা একটা মাত্রার ‘পুশ’ দিতে পারে বা কৌতূহল তৈরি করতে পারে। কিন্তু আমরা সাম্প্রতিক অতীতে দেখেছি যতই বড় অভিনেতা থাক না কেন, দিনের শেষে কনটেন্ট ভাল না হলে দর্শক সরে যায়। আমার একার জনপ্রিয়তাতেও এক্ষেত্রেও কিছু হবে না। ইট ইজ টিম ওয়ার্ক। ‘ওয়ার্ড অফ মাউথ’ একটা ভাল কিছু হয়েছে। যার জন‌্য আরও লোকে দেখছে।

আবার ওয়েবের দর্শক আর টেলিভিশনের দর্শক কিন্তু বেশ আলাদা। ওয়েবের দর্শক কিন্তু টিভি আর্টিস্টকে অতটাও মান‌্যতা দেয় না। কী বলবেন?
বিক্রম: হ্যাঁ, আমি কমেন্ট পড়ে সেটা বুঝতে পারি। ‘খোঁজ’ বা ‘সাহেব বিবি গোলাম’-এর রিলিজের সময় সেটা টের পাইনি অতটাও। কিন্তু তানসেনের টিজার লঞ্চের সময় বা ট্রেলার লঞ্চের সময় আমি কিছু নেগেটিভ প্রতিক্রিয়াও পেয়েছি। যে, ইনি তো টেলিভিশন করেন! এটা দর্শকের একটা অংশ। কিন্তু তারাও ‘তানসেনের তানপুরা’ দেখার পর ভাল বলছেন। এটা আমার প্রাপ্তি। টেলিভিশন থেকে কত ভাল অভিনেতাদের আমরা পেয়েছি, সেটা যেন ভুলে না যাই। তাঁরা অনেকেই আজ সিনেমায় রাজত্ব করছেন।

এই সিরিজটা দেখে কিন্তু ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’-র ফিল পাওয়া যাচ্ছে। আপনি মানবেন তো?
বিক্রম: হ্যাঁ, আমি মানব। এটাও ট্রেজার হান্ট। আবিরদা সোনাদা রূপে এসেছিল, ফলে মানুষের মাথায় ওটা আছে ভীষণভাবে। দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। নিশ্চয়ই ওটা মানুষের মাথায় আসতেই পারে। কিন্তু ‘তানসেনের তানপুরা’ ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’র থেকে আলাদা। ভারতীয় মার্গসংগীত এটার বেশিরভাগটাই জুড়ে আছে। প্রত্যেকটা পদক্ষেপে ইন্ডিয়ান ক্লাসিকাল মিউজিকের বিশেষ জায়গা আছে এখানে। এমনকী রহস‌্য সন্ধানের ধাপগুলোতেও গান খুব গুরুত্বপূর্ণ।

[ আরও পড়ুন: অঙ্গদানের অঙ্গীকার রীতেশ-জেনেলিয়ার, তারকা দম্পতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ]

আপনার যে চরিত্র ‘আলাপ মিত্র’। সে তো শাস্ত্রীয় সংগীতে দারুণ পারদর্শী। এমন চরিত্র তো আপনি করেননি। তার জন‌্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
বিক্রম: আমাকে যখন বিষয়টা বলা হয়, আমি অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমার ক্লাসিকাল মিউজিকের কোনও ব‌্যাকগ্রাউন্ড নেই, শরীরীভাষা এবং লিপ দেওয়া খুব কঠিন এই ধরনের চরিত্র বিশ্বাসযোগ‌্য করে তোলার ক্ষেত্রে। আলাপের চরিত্রটাকে সার্থক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ‌্যালেঞ্জ ছিল হাতের কাজ এবং লিপ দেওয়া। পরিচালক সৌমিক চট্টোপাধ‌্যায়, রাইটার সৌগত, সুরকার জয় সরকার আমাকে দারুণ সাহায‌্য করেছেন। আমার খুব ভয় ছিল যে লোকে কী বলবে। পণ্ডিত তুষার দত্ত নিজে মেসেজ করেছেন যে, ওঁর খুব ভাল লেগেছে। যেটা আমার কাছে হিউজ কমপ্লিমেন্ট। ভাল লাগার কথা জানিয়েছেন সোহম চক্রবর্তীও। বা জয়দা নিজে বলেছে, যে, আমাকে দেখে একবারও মনে হয়নি গান গাইছি না। খুব কম সময়ের মধ্যে নিজেকে তৈরি করতে হয়েছিল।

আপনার কণ্ঠস্বর তুলনামূলকভাবে বেশ নরম ধাঁচের। সেখানে ওই গান গাওয়ার ভঙ্গি ফুটিয়ে তোলা তো শক্ত!
বিক্রম: ঠিকই। একটা ভারীক্কি ব‌্যাপার রাখতে হয়েছিল। আমি যেভাবে কথা বলি, সেভাবে ‘আলাপ’ কিন্তু কথা বলে না। আলাপকে আমাকে সচেতন ভাবে আলাদা করতে হয়েছিল। কারণ ওর কাঁধে অনেক দায়িত্ব। গানের সুরেই তো লুকিয়ে গুপ্তধনের সূত্র (হাসি)। প্রথম পর্বে পাঁচটা এপিসোড এসেছে। ৩ জুলাই আরও পাঁচটা আসবে। তবে সেখানেই শেষ নয়, এটুকু বলতে পারি। (হাসি)

সামনে নতুন কোনও ছবির কথা চলছে?
বিক্রম: আলোচনা হচ্ছে তবে কোনও কিছু চূড়ান্ত নয় এখনও।

‘ইচ্ছে নদী’ এবং ‘ফাগুন বউ’-এমন সুপারহিট সিরিয়ালে লিড রোল করার পর আর টেলিভিশন করতে চান না?
বিক্রম: চাই না একথা বলব না। তবে শুধুই টেলিভিশন করতে চাই না। টেলিভিশন আমাকে যতটা ভালবাসা, জনপ্রিয়তা দিয়েছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি তার পাশাপাশি ফিল্মের কাজও করতে চাই। এবং ওয়েবেও ভাল বিষয় হলে করব। অনেক সময় টিভির কাজ করে অন‌্য কাজের জন‌্য সময় বের করা যায় না। তো এবার আমাকে দেখে নিতে হবে দুটো দিকে ব‌্যালান্স রেখে কীভাবে কী করা যায়। এর মধ্যেও টিভির অফার পেয়েছি, এই খারাপ সময়েও। কিন্তু দুঃখের বিষয় অন‌্য কমিটমেন্ট থাকার কারণে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারিনি। দেখা যাক, একটু অপেক্ষা করি।

The post ‘সবচেয়ে বড় চ‌্যালেঞ্জ ছিল গানে লিপ দেওয়া’, ‘তানসেনের তানপুরা’ নিয়ে অকপট বিক্রম appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement