সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ করোনার (Coronavirus) দাপটে বেসামাল চলচ্চিত্র জগৎ। টলিউড (Tollywood) হোক বা বলিউড (Bollywood) কিংবা হোক দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, সর্বত্রই ছবিটা এক। অতিমারীর ছোবলে বেপথু হয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুভি ইন্ডাস্ট্রির উপার্জন কমেছে প্রায় অনেকটাই। ২০১৯ সালে যেখানে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের আয় ছিল ১৯,১০০ কোটি টাকা, সেটাই বর্তমানে কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৭,২০০ কোটি টাকায়।
আর হবে নাই বা কেন? একে তো, করোনা সংক্রমণে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন, কারও কারও মৃত্যুও হয়েছে। এসবের প্রভাব এসে পড়েছে কাজের উপর। তার উপর সংক্রমণের জেরে ছোট পর্দা হোক বা বড় পর্দা, কাজ বন্ধ থাকায় অসুবিধার মুখে পড়েছেন অভিনেতা থেকে শুরু করে অন্যান্য বহু কলাকুশলীই। প্রেক্ষাগৃহগুলি প্রথমে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। পরে আবার খুললেও ফের বন্ধ হয়। অতিমারীর সময়ে চলচ্চিত্র সময়ের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার দিনমজুর কাজ হারিয়েছেন। সংখ্যাটা প্রায় সাত লক্ষ। ফিকির রিপোর্ট বলছে, এই সময়ের মধ্যে অন্তত ১০০০ থেকে ১,৫০০টি সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘করোনায় মানুষ মরছে, জাঁহাপনার সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ চলছে’, মোদিকে কটাক্ষ সায়নীর!]
মাল্টিপ্লেক্সগুলির অবস্থাও তথৈবচ। টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের অঙ্কেও লক্ষণীয় ঘাটতি দেখা গিয়েছে। এখন যা ৪০০ মিলিয়ন, ২০১৯ সালে তা ছিল এর তিনগুণ বেশি। সব মিলিয়ে করোনা অতিমারীর জেরে চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলচ্চিত্র শিল্পের এই বেহাল দশা দেখে, প্রোডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি, সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের প্রতিক্রিয়া, “বছরটা খুব খারাপ গেল।”
তবে অনেকেই মনে করেছিলেন, এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হল, ছবি বা ওয়েব সিরিজের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি। কিন্তু সিনে বিশেষজ্ঞরা তা মানছেন না। তাঁদের যুক্তি, যতটা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, তার হাত থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হল ছবির বড় পর্দায় মুক্তি। এসভিএফ-এর (শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মস) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, বিষ্ণু মোহতার কথায়, “সাধারণত আমরা বছরে ১০-১২টি ছবি রিলিজ করি। কোভিডের সময় ওটিটিতে আমরা মাত্র চারটি ছবির রিলিজ করতে পেরেছি।”