shono
Advertisement

‘যৌনকর্মীদের ভিডিও ক্যাসেটও বিক্রি করেছি’, জীবন সংগ্রাম নিয়ে অকপট মধুর ভান্ডারকর

মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়িতেও ক্যাসেট সরবরাহ করতেন মধুর।
Posted: 03:57 PM Oct 14, 2022Updated: 03:57 PM Oct 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের অন্যতম সিনেপরিচালক হলেন মধু ভান্ডারকর। ‘চাঁদনি বার’, ‘পেজ থ্রি’, ‘ফ্যাশন’ এবং ‘হিরোইনে’র মতো ছবি তৈরি করেছেন তিনি। বক্স অফিসের সঙ্গে সঙ্গে ফিল্ম সমালোচকদের থেকেই প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছিলেন মধুর। কিন্তু জানেন কি, কিশোর বয়সে আজব আজব সব কাজ করতেন তিনি!

Advertisement

সম্প্রতি এক সংবামাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মধুর (Madhur Bhandarkar) জানালেন, আমি খুবই নিম্নবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। টাকা-পয়সার জন্য স্কুল ছাড়তে হয়েছিল। এমনকী, পরীক্ষায় ফেলও করি। সালটা ১৯৮২। টাকা রোজগার করার জন্য নতুন নতুন কাজের সন্ধান করতাম। তখন ভিডিও ক্যাসেটের যুগ। আমি হঠাৎ করে ভিডিও ক্যাসেটের ডেলিভারি বয় হয়ে গেলাম। ১০ টাকায় ভিডিও ক্যাসেট কিনতাম। আর তা বিক্রি করতাম ৩০ টাকায়। বহু দিন এই কাজ করেছি। আমি মূলত যৌনকর্মী ও গ্যাংস্টারদের ওই ভিডিও ক্যাসেট বিক্রি করতাম।

[আরও পড়ুন: ‘সাজিদকে ক্ষমা করে দিন’, হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন রাখি সাওয়ান্ত, দেখুন ভিডিও]

মধুর আরও বলেন, ‘প্রথমে সাইকেল, তারপর স্কুটার। আমি সুভাষ ঘাই, মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়িতেও ক্যাসেট বিক্রি করতাম। মিঠুনদা তো আমাকে খুব ভালবাসতেন। প্রয়োজনে অগ্রিম টাকাও দিতে। সত্যি কখনও ভাবিনি, সেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই চলে আসব। বা হয়তো এই কারণেই সিনেমার প্রতি আমার এত প্রেম!’

মধুর জানান, ‘ভিডিও ক্যাসেটের সময় শেষ হওয়ার পরে আমি দুবাই চলে যাই। সেখানে বহু কারাখানায় কাজ করি প্রথমে। তারপর ফের মুম্বই ফিরে এসে রামগোপাল বর্মার সহকারি হয়ে কাজ করি। সেই থেকেই সিনেমার পরিচালনায় আসা।’

মধুর ভান্ডারকর সব সময়ই বাস্তবের থেকে গল্প ধার করে সিনেমা তৈরি করেন। মধুরের কথায়, ‘আমার জীবনটা যেহেতু স্ট্রাগলে ভরা সেই কারণেই গল্পের অনুপ্রেরণা জীবন থেকে পাই।’

[আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড়, সাজিদ খানকে নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিগ বস!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement