সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজো মানেই কলকাতার অলিগলিতে রোশনাই। একমাস আগে থেকেই সাজো সাজো রব রাস্তায়। আর শহর তিলোত্তমার সেই সাজ মায়ের বিদায়বেলার পরও থেতে যায়। কারণ দীপাবলিতে আরেক রূপে ধরা দেবেন মা। শ্যামা মা। গোটা দেশের সঙ্গে আলো, আতসবাজির উৎসবে মাতবেন বঙ্গবাসীরাও। আর এই উৎসবের মরসুমে পরিবার, পরিজনদের ছেড়ে যাঁরা দিনভর হাসিমুখে কর্তব্যপালন করে যান, এবার তাঁদেরকেই কুর্নিশ জানালেন ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen)।
পুজোর মরসুমে (Durga Puja 2023) যেভাবে শহরের যানজট থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় সামলেছে, তার জন্য বিশেষ পোস্ট করে কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানালেন অভিনেতা। ঋদ্ধির মন্তব্য, “প্রতি বছর পুজোয় তাঁরা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, গোটা দেশে তার জুড়ি মেলা ভার। এবছর পুজোয় রাস্তায় বেরিয়ে মনে হচ্ছিল প্রতিদিনই বোধহয় রবিবার। এবং ধন্যবাদ সেই সকল মানুষকে যারা পুজোয় একদিনও ছুটি পাননি।”
পুজোর কটা দিন আসলে উত্তর কলকাতা হোক কিংবা দক্ষিণ কলকাতা সর্বত্রই জনঅরণ্য থাকে। বিভিন্ন রকমের রংবাহারি থিমপুজো দেখতে ভিড় করেন কলকাতা তো বটেই, এমনকী শহরতলীর মানুষেরাও। মণ্ডপের বাইরে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করে দেবীদর্শন করতে হয় সকলকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ কর্মীদেরও বিশেষভাবে সজাগ থাকতে হয় এই কদিন, যাতে সুষ্ঠভাবে দর্শনার্থীরা ঘুরতে পারেন। তবে এবার যেভাবে দক্ষ হাতে কলকাতা পুলিশ পুরো বিষয়টিকে সামাল দিয়েছে, তাতে বাহবা জানিয়েছেন অনেকেই। অভিনেতা ঋদ্ধি সেনও তাঁদের সুরেই সুর মেলালেন। কলকাতা পুলিশের কাজে মুগ্ধ তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্গাপুজোয় সবথেকে বড় ব্লকবাস্টার’, জাতীয় স্তরেও প্রশংসিত রাজনৈতিক থ্রিলার ‘রক্তবীজ’]
তবে শুধু পুলিশ প্রসাশনকে ধন্যবাদ জানিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি অভিনেতা। পাশাপাশি জরুরি পরিষেবা থেকে শুরু করে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস, ভোরবেলা শহর পরিষ্কার রেখেছেন যাঁরা, রেস্তরাঁর কর্মচারীদের, পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানালেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা। ঋদ্ধির সংযোজন, “এছাড়াও বিভিন্ন পুজো কমিটির ভলেন্টিয়ারদের যাঁরা প্রতিটা প্যান্ডেল যাওয়ার রাস্তা রেখেছিলেন নির্ঝঞ্ঝাট। ওষুধের দোকান খোলা রেখেছেন যাঁরা, শপিং মল এবং বিভিন্ন জায়গার সিকিউরিটি গার্ডদের এবং সেই সকল সহ নাগরিকদের বন্ধুদের ধন্যবাদ যাঁরা কাজ করে গিয়েছেন আমাদের স্বাচ্ছন্দের জন্য।”