বড়দিনে মুক্তি পাচ্ছে সুপারহিট পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘হামি ২’। এই ছবিতে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঞ্জন দত্ত। ইতিমধ্যেই ছবির এক সংলাপে নজর কেড়েছেন তিনি। ‘হামি ২’ নিয়ে বিশেষ আড্ডায় অভিনেতা। শুনলেন শম্পালী মৌলিক।
‘হামি টু’-এর অন্যতম সারপ্রাইজ এলিমেন্ট আপনি।নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবির ঘরানার সঙ্গে তো আপনাকে মেলানো যায় না, সেক্ষেত্রে রাজি হওয়ার কারণ কী ?
অঞ্জন দত্ত: ঠিক তা নয়। একটা চরিত্রে আমি রয়েছি, যাকে সকলে ‘নিতাই জ্যাঠা’ বলে ডাকে। আমার রাজি হওয়ার কারণ, চরিত্রটা খুব ভাল। খুবই ইন্টারেস্টিং। আমার মনে হয়েছিল যে, বাচ্চাদের ভাল লাগবে। দুই ভাইয়ের গল্প। ছবির গল্পের সঙ্গে আমি একমত। কীভাবে সেটা বানানো হয়েছে, সেটা পরিচালকদের ব্যাপার।
‘নিতাই জ্যাঠা’-র চরিত্রটা কেমন?
অঞ্জন দত্ত: সে একজন মাস্টারমশাই। বাংলা ইশকুলের মাস্টারমশাই আর লাইব্রেরি চালায়। বাচ্চা দুটোর বাবাকেও সে পড়িয়েছে।
আপনি বললেন ছবির গল্পটার সঙ্গে একমত। তার কারণ কী?
অঞ্জন দত্ত: কারণ, এই ‘হামি টু’ (Haami 2) প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যে প্রতিভা থাকার বিষয়টা কম্পিটিশনে প্রমাণ করতে হবে? সৃষ্টি করার থেকেও কী সেটা জরুরি? যেটা আমার চরিত্র বলে– প্রতিযোগিতায় গিয়ে তো লাভ নেই, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তুমি কী ক্রিয়েট করছ।
আপনার একটা সংলাপ, খুদে অভিনেতার প্রতি, যেখানে বলছেন ‘বিস্ময় আজীবনের জন্য নয়। …বিস্ময় হতে যেও না, তুমি বিস্মিত হয়ে যাবে।’ খুব জনপ্রিয় হয়েছে ডায়লগটা।
অঞ্জন দত্ত: কী করে হল জানি না (হাসি)। এরকম আগেও আমার দু’-একটা সংলাপের ক্ষেত্রে হয়েছে। আসলে যেটা হয়, লেখার কারণে সংলাপ জনপ্রিয় হয়। আমি জাস্ট বলেছি।
আপনার কণ্ঠ এবং বাচনভঙ্গিরও একটা অবদান আছে এখানে…
অঞ্জন দত্ত: সে ঠিক আছে, ওটা অভিনেতার কাজ। প্রাথমিকভাবে যে লিখছে সংলাপ সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার কৃতিত্ব বেশি।
এই প্রথমবার আপনি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় কাজ করলেন। এবং অভিনয়ও করলেন একসঙ্গে। আগে আপনার পরিচালনায় শিবপ্রসাদ অভিনয় করেছেন। কেমন লাগল?
ঠিক। আমি ইদানীং যা শুটিং করছিলাম, বিভিন্ন জায়গায়, সেখানে সঙ্গত কারণেই হয়তো নানা চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে শুটিং করেছি। এই লাইট পড়ে যাচ্ছে, কেউ দেরি করছে– ইত্যাদি নানা কিছু দেখেছি ইদানীং। হইহই আর চাপ। ‘হামি টু’-র ক্ষেত্রে আমি সেরকম কিছু ফিল করিনি। খুব শান্ত পরিবেশে শুটিং করেছি। ঠিক যতবার রিহার্সাল দরকার, করা হয়েছে। খুব দরকার হলে আরেকবার টেক নেওয়া হয়েছে। খুব উপভোগ ইউনিট ‘হামি টু-র এটা বলতে পারি।
এইরকম ছোট বাচ্চাদের (ঋতদীপ সেনগুপ্ত, শ্রেয়ান সাহা, আরিত্রিকা চৌধুরি) সঙ্গে তো নিশ্চয় বহু যুগ বাদে অভিনয় করলেন?
অঞ্জন দত্ত: হ্যাঁ, আমি খুব কম-ই এত ছোটদের সঙ্গে অভিনয় করেছি। কাজটা এনজয় করেছি। বাচ্চারা খুব মিষ্টি ছিল।
প্রথম ‘হামি’ কি দেখেছিলেন?
অঞ্জন দত্ত: না, প্রথমটা দেখিনি। তবে ‘রামধনু’ দেখেছিলাম। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘ইচ্ছে’ আমার খুব ভাল লেগেছিল।
বড়দিনের মুখে ছবিটা আসছে। আপনি আশাবাদী?
অঞ্জন দত্ত: মনে হয় ইট’স আ হার্ট ওয়ার্মিং ফিল্ম। একটা প্রচ্ছন্ন দুঃখবোধও আছে, সেটা ভাল। এই যে, বিভিন্ন ধরনের রিয়্যালিটি শো, এইটার বাস্তবতা নিয়ে ছবিটা করা। যেটা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। ইস্যুটা লোকজনের ভাল লাগবে।