shono
Advertisement

Breaking News

সন্ত্রাসবাদ সমর্থনযোগ্য নয়, ফ্রান্সে ইসলামিক হানার বিরোধিতা শাবানা-জাভেদ-নাসিরুদ্দিনদের

বিবৃতিতে সই করেছেন দেশের বহু সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী।
Posted: 10:22 AM Nov 01, 2020Updated: 10:23 AM Nov 01, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের নামে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনযোগ্য নয়। ভয়ংকর অপরাধ ঢাকতে কোনও ঈশ্বর, দেবী বা নবিকে টেনে আনাটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া লাগাতার ইসলামিক হামলার (France Attack) বিরোধিতায় এবার মুখ খুললেন এদেশের বিদ্বজনেদের একাংশ। এক বিবৃতিতে দেশের শতাধিক বুদ্ধিজীবী ফ্রান্সের ঘটনাগুলির বিরোধিতা করেছেন। সেই সঙ্গে যেসব মুসলিম ধর্মগুরু ধর্মের দোহাই দিয়ে এই হামলাগুলিকে সমর্থন করছেন, সেইসব ‘স্বঘোষিত ইসলামের অভিভাবক’দেরও তোপ দেগেছেন এই বুদ্ধিজীবীরা

Advertisement

ফ্রান্সে লাগাতার সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে শনিবার একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন ১৩০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি। যাতে স্বাক্ষর করেছেন শাবানা আজমি (Shabana Azmi), জাভেদ আখতার (Javed Akhtar), নাসিরুদ্দিন শাহ (Naseeruddin Shah), অভিনেতা স্বরা ভাস্কর, জিসান আয়ুব, পরিচালক কবীর খান, লেখক-পরিচালক ফিরোজ আব্বাস খান, লেখক অঞ্জুম রাজাবলি, শিল্পপতি আবদুল আজিজ লোখন্ডওয়ালা, লেখক তুষার গান্ধী, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ প্রমুখ। স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় নাম আছে দেশের তাবড় মুসলিম বুদ্ধিজীবী এবং বহু বামপন্থী সমাজকর্মীর। বিবৃতিতে বিশিষ্টরা বলছেন, “আমারা দ্বিধা এবং দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ফ্রান্স হামলার নিন্দা করছি। কিছু মানুষ যারা নিজেদের ভারতীয় মুসলিমদের অভিভাবক মনে করে, তাঁদের এই ঘটনাকে সমর্থন করার চেষ্টাতে আমরা মর্মাহত। এই ধরনের পরিকল্পিত হিংসা কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না।”

[আরও পড়ুন: ফের ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্যে ফ্রান্স! এবার চার্চের সামনে যাজককে গুলি আততায়ীর]

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই ফ্রান্সে একের পর এক ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের বুকে এক শিক্ষককে মাথা কেটে খুন করে এক চেচেন মুসলিম জঙ্গি। পড়ুয়াদের বাক স্বাধীনতার পাঠ দিতে হজরত মহম্মদের একটি ব্যঙ্গচিত্র দেখিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। এর জেরে তাঁকে নৃংশসভাবে হত্যা করা হয়। এরপরই ওই ঘটনাকে ‘ইসলামিক মৌলবাদের’ স্বরূপ বলে তোপ দেগেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron)। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওই শিক্ষককে ‘নায়ক’ বলে মন্তব্য করেন। হামলার ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদ’ ও ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী হামলা’র মতো শব্দ ব্যবহার করেন তিনি। তারপর থেকেই গোটা মুসলিম বিশ্বের রোষের মুখে পড়েছে ফ্রান্স। নিয়মিত ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালাচ্ছে আততায়ীরা। দিন কয়েক আগে ফ্রান্সের ঐতিহাসিক নোতরদাম গির্জাতেও হামলা চালিয়েছে এক আততায়ী। অথচ, অনেক মুসলিম ধর্মগুরুই ধর্মের নামে এই ধরনের সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে চলেছে। এবার তারই বিরোধিতায় সরব হলেন বুদ্ধিজীবীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement