সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমএন রাজ পরিচালিত নেক্সজেন ভেঞ্চার্স প্রযোজিত ‘এম ১৬’ ছবির সঙ্গে তিনি আর কোনওভাবে যুক্ত নন। সোমবার সোশাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করেন অভিনেতা জীতু কমল (Jeetu Kamal)। তাতেই নানা জল্পনা ছড়াতে থাকে। যে ছবি জীতু ছেড়েছেন তাতে সোহম চক্রবর্তী ও বাংলাদেশি তারকা অপূর্ব রয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। তাহলে কি এই দুই তারকা রয়েছেন বলেই হীনমন্যতায় ভুগে জীতু ছবি ছেড়েছেন? এমন প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তারকা।
এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জীতু জানান, অনুমতি ছাড়াই ছবির পোস্টারে তাঁর মুখ ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি পোস্টারের শুটিং করেননি। শুধুমাত্র মুখটা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিনেতার দাবি, কোনও চুক্তিই করা হয়নি। শুটিংয়ের তারিখও ক্রমাগত পালটে যাচ্ছিল। ছবির চিত্রনাট্যও বেশ দুর্বল। এই সমস্ত দিন বিবেচনা করেই ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এখানে নিরাপত্তাহীনতা বা হীনমন্যতার কোনও জায়গাই নেই। ওই সংবাদমাধ্যমকেই আবার ছবির প্রযোজক রক্তিম চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছবিতে সোহম, অপূর্ব কেউই অভিনয় করছেন না। নতুন মুখ নিয়ে তিনি কাজটা শেষ করবেন। আর জীতু তাঁর বন্ধু ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
[আরও পড়ুন: আর লুকোছাপা নয়, ‘সুখবর’ দিয়েই ফেললেন অনুষ্কা শর্মা]
এদিকে সোশাল মিডিয়ায় রক্তিম লিখেছেন, “আমি কিছু না জানার কারণে ব্যকরণ হয়ে গেছি। না অভিনেতাদের সাথে আমার আজকের ডেটে ডিল হয়, না আমি নিজে ডিল করি ব্যক্তিগতভাবে। অভিনেতাদের সাথে সুসম্পর্কটা পরিচালকের হওয়া উচিত প্রযোজকের সাথে নয়। প্রযোজক টাকা দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না। কিন্তু এখানে নিরাপত্তা হারানোর কারণে অনেক কিছুই ঘটে তা এখন একবার দেখলাম। জীতুর সাথে কখনই আমার খারাপ কথা বার্তা বা সিনেমা ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কথাবার্তা হয়নি। শুধু ইনিশিয়াল স্টেজে কথা বলে কনভিন্স করেছিলাম এবং সেখানে তিনি আমাকে যথাসাধ্যভাবে সহযোগিতাও করেছিলেন। এবার তাঁর কী মনে হচ্ছে সিনেমাটা নিয়ে তিনি আমার সাথে একবার আলোচনাও করেননি কিন্তু যতটা কথা বলে বুঝতে পারলাম তাঁর ম্যানেজার এর থেকে তিনি হীনমন্যতায় ভুগেছেন। কিন্তু আমি তাঁর সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলতে চাই না কারণ তিনি আমার সাথে কোনওদিন খারাপ ব্যবহারও করেননি। তাঁকে তাঁর আগামী ছবির জন্য শুভেচ্ছা, আর যাঁরা যাঁরা ভাবছেন ‘এম ১৬’ ইদে আসবে না, তাঁদের বলে রাখি কেউ বেরিয়ে যাওয়াতে ছবি আটকে থাকবে না। ‘এম ১৬’ ইদেই আসবে। যে টাইমে বলেছি সে টাইমেই আসবে।”
এর পরই আবার তিনি লেখেন, “আমার এক প্রিয় অভিনেতার কথা বলি, সে তো তার সিনেমায় আমার করে দেওয়া টাইটেল লোগোটাই করছে… দেখেও বাজে লাগল.. আমাদের মতো ফেক প্রযোজক রা ফেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখিয়ে কাজ করতে আসেন তার মানে উনি মানছেন সিনেমার থেকে টাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাতে সিনেমা হোক বা না হোক, ওনার ফ্যানরা শুনে দুঃখ পাবেন। ওনাদের সাথে কিন্তু গত দেড় বছরে দেখলাম দুটো প্রোডাকশন হাউসের লোগো উঠে গেল, কিন্তু উনি থেকে গেলেন। দিনের শেষে আমরাই SCAMER। তো দাদা আমাদের টাকাগুলো ফেরত দিলে ভালো হয় ( সাথে সোনার ব্রেসলেট, দামি দুটো মোবাইল ফোন)। যাক ছেড়ে দিলাম, বোঝাপড়াটা ইদেই করে নেব। আপনি কী করে ভাবলেন আপনার জন্য ময়দানটা একাই ছেড়ে দেব, সব তুলে রেখেছি। আমি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি যে আমার মত তুচ্ছ মানুষকে আটকাতে গেলে আপনাদের ময়দানে নামতে হয়। বাকি কথাটা আপনার আর আমার মধ্যেই রাখা থাকল একসাথে ইলিশ মাছটা ভাগ করে খেয়েছিলাম তো অতটাও নিমকহারাম হতে পারব না, আপনি ভালো থাকবেন। ঈদ ২০২৪-এর যুদ্ধ, ১০০%।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এই নেক্সজেন ভেঞ্চার্সের সঙ্গেই অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্যের জেরে ‘মির্জা’ ছবির কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছিলেন অঙ্কুশ। মঙ্গলবার সকাল সকালই সোশাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে অভিনেতা ক্ষোভ উগরে লিখেছিলেন, “আমি হাত জোর করে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের কিছু মানুষকে অনুরোধ করছি দয়া করে সব কিছু জেনে শুনে ভুল মানুষ কে সাপোর্ট করে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করবেন না…।”
[আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ‘ডাঙ্কি’র প্রথম শো ভোর পাঁচটায়, কলকাতা শাহরুখের ছবির ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো কখন?]