সুকুমার সরকার, ঢাকা: গতকালই পিতৃবিয়োগ হয়েছে বাংলাদেশের বিতর্কিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের। বাবাকে হারানোর শোকের মাঝেই তৃতীয় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শেষ সময় বাবার পাশে ছিলেন না স্ত্রী। বাবাকে অবহেলার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিরো আলম।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানী ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হিরো আলমের বাবা আবদুর রাজ্জাক। তিনি হিরো আলমের পালিত পিতা। শৈশবে অভিভাবকত্ব নেন। হিরো আলমের জন্মদাতা বাবা মারা যান ২০১৭ সালে। আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে হিরো আলম বলেন, "সবাই আমার বাবার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন।" আজ জানা গিয়েছে বাবাকে অবহেলার অভিযোগে তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়া মনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহানকে ডিভোর্স দিয়ে রিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন একাধিক নাটক ও মিউজিক ভিডিওতে। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে হিরো আলম জানান, "রিয়া মনিকে আমার জীবন থেকে বয়কট করলাম। কারণ আমার বাবা হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু সে আমার বাবার কাছে না থেকে বিভিন্ন ছেলেদের নিয়ে নাচ-গান করে বেড়িয়েছে। তার পরিবারে কোনও সদস্য আমার বাবাকে এতদিন হাসপাতালে দেখতে আসেনি। আমার বাবা বেঁচে থাকতে দেখতে আসল না। তাহলে আমি পড়ে থাকলে সে কি করবে? রিয়া মনি ঢাকা শহরে বিভিন্ন বারের ড্যান্সার। সেখান থেকে আমি একটা ভালো পথে আনার চেষ্টা করেছিলাম। ছেড়ে দেওয়া গরুকে কোনও দিন ঘরে বন্দি করে রাখা যায়? রিয়া যে কত খারাপ করেছে খুব শীঘ্রই আপনারা বুঝতে পারবেন।"
উল্লেখ্য, বহু বিতর্কে জড়ানো হিরো আলম গত বছর বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে প্রার্থী হলেও তিনি জিততে পারেননি। রাজনৈতিক কেরিয়ারে হতাশাই তাঁর সঙ্গী হয়েছে। অন্যদিকে, প্রেম-বিয়ে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও যথেষ্ট টানাপোড়েন রয়েছে। নানা বিতর্কের মাঝে পড়ে গত মার্চ মাসে রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানেন হিরো আলম। জানিয়ে দেন, সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কেরিয়ারে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
