সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ বাড়তেই মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ জাভেদ আখতার। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে আরও বেশি মাত্রায় দেশে গার্হস্থ্য হিংসা বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলিউডের বর্ষীয়ান এই চিত্রনাট্যকার।
লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই সুরাপ্রেমীদের মনে সুখ নেই। বাকি সমস্ত কিছুর সঙ্গে তালা পড়েছিল মদের দোকানেও। লকডাউনের মেয়াদ যত বেড়েছে ততই উর্ধ্বমুখী হয়েছে সুরার দাম। ফলে তেষ্টায় গলা ফাটলেও কষ্ট বুকে চেপেই ঘুমিয়েছেন তাঁরা। তবে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়তেই সুরাপ্রেমীদের মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা দেখে অনেকেই বলছেন, কনটেনমেন্ট জোন বাদে প্রায় সর্বত্রই শর্তসাপেক্ষে খুলতে পারে মদের দোকান। তবে সবটাই রাজ্যের অনুমতির উপর নির্ভর করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকাতেই ক্ষুব্ধ জাভেদ আখতার।
টুইটার ক্ষোভ প্রকাশ করে জাভেদ আখতারের মন্তব্য, “লকডাউনের সময় মদের দোকান খোলার প্রভাব আরও মারাত্মক হবে। একাধিক সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে যে এই লকডাউন পর্বে গার্হস্থ্য হিংসার হার বেড়ে গিয়েছে অনেক মাত্রায়। কাজেই মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্তে যে শিশু এবং মহিলারা সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, তা বলাই বাহুল্য”
[আরও পড়ুন: শততম জন্মদিনে ফাঁকা সত্যজিতের বাড়ি, সন্দীপ খুঁজছেন ‘গুপ্তধন ‘]
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রেড জোনে থাকা দিল্লি-সহ একাধিক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। স্ট্যান্ড অ্যালোন দোকানও খোলার ছাড়পত্র রয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, কনটেইনমেন্ট জোন বাদে সমস্ত স্ট্যান্ড অ্যালোন ও সরকারের খাতায় নথিভুক্ত দোকান খোলা যেতে পারে। উপরন্তু একমাত্র গ্রিনজোন বাদে অন্যত্র কোথাও মদের দোকান খোলা বা বন্ধ রাথার স্পষ্ট নির্দেশ কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় নেই। এই লকডাউনের মাঝে যেখানে রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে গার্হস্থ্য হিংসার হার, সেখানে সাধারণ মানুষের কাছে মদকে কেন এত সহজলভ্য করে তোলা হচ্ছে? কেন্দ্রের ছাড়পত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলিউডের বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার।
[আরও পড়ুন: সত্যজিৎকে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য সংস্কৃতি মন্ত্রকের, ছবির পরিচালনায় অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরি]
The post ‘লকডাউনে মদের দোকান খুললে গার্হস্থ্য হিংসা আরও বাড়বে’, ক্ষোভ প্রকাশ জাভেদ আখতারের appeared first on Sangbad Pratidin.
