সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallavi Dey) মৃত্য নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। অভিনেত্রীর পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে পল্লবীকে। পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিক ও তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। আর ঠিক এই সময়েই সামনে এল সাগ্নিকের একটি পুরনো ভিডিও। যেখানে দেখা গেল এক নাইট ক্লাবে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে নাচতে ব্যস্ত সাগ্নিক! এখন প্রশ্ন হল, কে এই ঐন্দ্রিলা?
জানা গিয়েছে, পল্লবীর সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকার সময়ই হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের প্রেমে পড়েন সাগ্নিক। মূলত এই অভিযোগ তুলেছেন পল্লবীর পরিবারের লোকজনই। এমনকী, রবিবার পল্লবীর মৃত্য সংবাদ শোনার পর বাঙুর হাসপাতালেও এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা।
[আরও পড়ুন: গয়না, ফ্ল্যাটের ইএমআই দিতে জেরবার পল্লবী, মেজাজ হারিয়ে ছুঁড়তেন বাসন, জুতো]
ঐন্দ্রিলার সঙ্গে পল্লবীর বন্ধুত্ব যে খুবই গভীর ছিল, তা অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। পল্লবীর সঙ্গে বহু ছবিতেই রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। এমনকী, পল্লবী ও সাগ্নিকের সঙ্গে নাইট ক্লাবেও গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেই নাইট ক্লাবের ভিডিও ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন অভিনেত্রী পল্লবী।
ঐন্দ্রিলা জানান, ”সাগ্নিককে আমি চিনতাম পল্লবীর আগে থেকে। আমি, সাগ্নিক, রেহানরা একই স্কুলে পড়াশোনা করেছি। রেহানের মাধ্যমে চিনি ওর বান্ধবী পল্লবীকে। তার পর সাগ্নিকের সঙ্গে পল্লবীর সম্পর্ক তৈরি হল। লিভ ইন করতে শুরু করল ওরা। আমার বন্ধুত্ব পল্লবীর সঙ্গেই ছিল। সাগ্নিকের সঙ্গে বিশেষ কথা হত না। আবার সাগ্নিকের ব্যাপারেও বেশি জানতে চাইতাম না পল্লবীর থেকে। আমরা আজ আছি কাল নেই। ফলে সম্পর্ক খারাপ করে কী হবে? পল্লবীর হাওড়ার বাড়িতে ওর জন্মদিন, পারিবারিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বহুবার গিয়েছি। এমনকী, রাতেও থেকেছি। ও আমাদের বাড়িতে আসত। কিন্তু আমার সঙ্গে পল্লবীদের কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। রবিবার সকালে পল্লবীর এক বান্ধবী আমায় ফোন করে বলে, তুই কি জানিস পল্লবীর কী হয়েছে? আমি কিছুই জানতাম না। আমি পল্লবীকে ফোন করি। ফোনে না পেয়ে মেসেজ করি। উত্তর না পেয়ে ওর ভাই আর সাগ্নিককে ফোন করি। শেষে ওর ভাই বলে, দিদি আর নেই। খবর পেয়েই বাঙুর হাসপাতালে যাই। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, শুনেই আমি স্তম্ভিত। কেন এই অভিযোগ, তা জানি না। তার আগে কিন্তু আমার সঙ্গে সাগ্নিক বা পল্লবীর কোনও কথাই হয়নি। আমাকেও বাঁচতে হবে। আমারও ভবিষ্যৎ আছে। কেরিয়ার আছে। আমার কেরিয়ার নষ্ট করতে চাইছে ওর বাড়ির লোকেরা। কেন করছে জানি না। যদি আমাকে এতটাই অপছন্দ ছিল, পল্লবীকে বারণ করতে পারত আমার সঙ্গে মিশতে। আমাদের মধ্যে ফোনে খুব সাধারণ কথাবার্তা হত। কলকাতা থেকে হাওড়ায় এলেও দেখা করে যেত। কোনও খারাপ সম্পর্ক ছিল না। পল্লবীর মা বা কাকিমা আমাকে নিজের মেয়ে বলত। রবিবার আমি কাকিমার মেয়ের দেহের সামনে চোখের জল নিয়ে সারাদিন বসে ছিলাম। সেখানে কেন এই কথা বলল ওরা। আমার উপর নোংরা অভিযোগ আরোপ করা হচ্ছে। পল্লবী আর সাগ্নিক লিভ ইন করত। সেখানে আমার চরিত্র হনন করা কেন? এসব দেখে বাড়ির লোকেরা অসুস্থ হচ্ছেন। তবে আমি পুলিশকে সহযোগিতা করে যাব।”