সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহালয়া মানেই উমার আগমনবার্তা। মাঠের পাশে কাশফুল আর আকাশে তুলোর মতো মেঘ মনে পড়িয়ে দেয় ঢাকে কাঠি পড়তে আর বেশি দেরি নেই। দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। মহিষাসুরমর্দিনীর এই আগমনী যেমন প্রকৃতি নিয়ে আসে, তেমনই নিয়ে আসেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর গলায় দুর্গাবন্দনা শুনেই শুরু হয় দেবীপক্ষের প্রভাত।
যবে থেকে মহিষাসুরমর্দিনী শুরু হয় আকাশবাণীতে, তবে থেকেই তার ভাষ্যপাঠ করে আসছেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। মাঝে ব্যতিক্রম হয়েছিল একবছরই। ১৯৭৬ সালে। সেবার তাঁর বদলে ভাষ্যপাঠ করেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার। চলচ্চিত্র জগতে তিনি তখন একমেবাদ্বিতীয়ম মহানায়ক। যে শিখরে তিনি তখন অবস্থান করছিলেন, তার আশপাশেও ঘেঁষতে পারেনি কেউ। কিন্তু বেতারে মহিষাসুরমর্দিনীর ভাষ্যপাঠে তিনি ডাহা ফেল করে যান। বাঙালি তাঁকে কোনওভাবেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণের জায়গায় মেনে নিতে পারেনি। সেবার অকালবোধনের আগে এই একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তুলকালাম হয়েছিল বাংলায়। বাঙালির আবেগে আঘাত লেগেছিল। উত্তমকুমার যতবড় মহানায়কই হোন না কেন, তিনি যে মহিষাসুরমর্দিনীর ভাষ্যপাঠের জন্য একেবারেই ঠিক ব্যক্তি নন, তা তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিল জনগণ। বুঝেছিলেন উত্তম নিজেও। তাই সেই প্রথম, সেই শেষ। আর মহালয়ার সকালে বেতারে তাঁর কণ্ঠ শোনা যায়নি। মান বাঁচাতে ময়দান থেকে সরে গিয়েছিলেন মহানায়ক।
[ এবছরই ‘গুপী বাঘা’ বানাবেন, লক্ষ্য স্থির পরিচালক পাভেলের ]
সেই গল্পই এবার উঠে আসবে বড়পর্দায়। ছবির নাম ‘মহালয়া’। ছবিতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। উত্তমকুমারের ভূমিকায় দেখা যাবে যিশু সেনগুপ্তকে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সৌমিক সেন। প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবির লোগো মুক্তি পেয়েছিল আগেই। শুক্রবার প্রকাশ্যে এল প্রথম পোস্টার। এটি তৈরি হয়েছে তৎকালীন সংবাদপত্রের আদলে। শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘বীরেন্দ্রকৃষ্ণের বদলে উত্তম, উত্তাল বাংলা’। বোঝায় যাচ্ছে এই বিষয়টি নিয়ে সেসময় কতটা উত্তপ্ত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। ছবির পোস্টার সেই আবেগকেই তুলে ধরেছে।
[ ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর ট্রেলার দেখলে চমকে যাবেন ]
The post বড়পর্দায় এবার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ-উত্তমকুমারের ‘মহালয়া’ বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.