শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের জালে অনুব্রত মণ্ডল। গত ১১ আগস্ট থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত কেটে গিয়েছে প্রায় ১০০ দিনেরও বেশি সময়। সিবিআই আদালতে বারবার হাজিরা দিলেও মেলেনি জামিন। এখন অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার। এই পরিস্থিতিতে আসানসোল আদালতে আইনজীবী হয়ে এলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তবে অনুব্রতর হয়ে আইনি লড়াই লড়ছেন না তিনি। আদালতে এসেছেন সিনেমার শুটিংয়ে। তাও আবার হিন্দি ছবি। ছবির নাম ‘দ্য জঙ্গিপুর ট্রায়াল’। এই ছবিতে আইনজীবির ভূমিকায় রয়েছেন শতাব্দী।
আসানসোল আদালত থেকে সংশোধনগারের দূরত্ব মেরেকেটে দু’শো থেকে আড়াইশো মিটার। রবিবার দিনভর আদালতে শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) থাকলেও, অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে যাননি। অনুব্রতর প্রসঙ্গ তুলতেই দিলেন সংক্ষিপ্ত জবাব। বললেন, “আইন আইনের পথেই চলছে। আইনি লড়াই চলবে।”
[আরও পড়ুন: রয়্যাল বেঙ্গলের ডেরায় বাড়ছে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী, সুন্দরবনে খোঁজ মিলল ৩৮৫টি বাঘরোলের]
রবিবার আদালত বন্ধ থাকায় দিনভর চলে শুটিং। শতাব্দী একাধারে যেমন অভিনেত্রী, তেমনই আবার রাজনীতিক। তাই ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন ‘দ্য জঙ্গিপুর ট্রায়াল’ ছবির আইনজীবী। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন ভাল হবে। তৃণমূল (TMC) আবার আসবে সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল পুনরায় ক্ষমতায় আসবে। ২০২৪ সালেও তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে।” গুজরাটে আম আদমি পার্টি সরকার গড়বে বলে আশাবাদী তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী।
দেবাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দ্য জঙ্গিপুর ট্রায়াল’ কোর্টরুম ড্রামা। যেখানে আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা যাবে শতাব্দী রায়কে। কবীর বেদী, জাভেদ জাফরি, রাজেশ খট্টর, জাকির হুসেন, অমিত বহেলদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন অভিনেত্রী। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ফিল্মি জগৎ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন শতাব্দী। মাঝে বীরভূম থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ পদে হ্যাট্রিক করেন। তবে তার আগে নিজের অভিনয় দক্ষতায় বহুবার দর্শকদের মন জয় করেছেন শতাব্দী। বাংলার পাশাপাশি ‘নয়া জহর’, ‘মুলাকাত’ ও ‘লাভ স্টোরি’র মতো তিনটি হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ‘দ্য জঙ্গিপুর ট্রায়াল’ ছবির আইনজীবী দর্শকদের মনে ঠিক কতটা জায়গা করে নিতে পারে, সেটাই এখন দেখার।
দেখুন ভিডিও: