রমেন দাস: লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি বলে কোনও ক্ষোভ নেই। বরং বিধায়কের দায়িত্ব পালন করেই বেশ খুশি লাভলি মৈত্র (Lovely Maitra)। ‘জল নুপূর’ সিরিয়াল খ্যাত অভিনেত্রীকে আজও মনে রেখেছেন দর্শকরা। তবে তিনি এখন বিধায়ক তথা নেত্রী। নতুন পরিচয় গড়তে গিয়েই কি গ্ল্যামার দুনিয়ার থেকে দূরে লাভলি? সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর মুখোমুখি হয়ে সেকথা জানালেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক।
লাভলির সোজাসাপটা মন্তব্য, “যখন যে কাজটা করি, মন দিয়ে ভালোবেসে করি। তাই অভিনয়ের পথে রাজনীতিকে কখনোই কাঁটা বলে মনে হয়নি।” তবে সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের জন্য ধারাবাহিকের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন বলেও জানালেন সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের তারকা বিধায়ক।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। সব রাজনৈতিক শিবিরের ব্যস্ততাই বর্তমানে তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থীরা। সায়নী ঘোষের হয়ে দলের প্রচারে নেমেছেন লাভলিও। তাঁর কথায়, “সামনেই লোকসভা নির্বাচন। প্রচুর কাজ নিজের বিধানসভায়। দিন কয়েক আগেই একটা সিরিয়ালে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব এসেছিল আমার কাছে। সেই কাজটা আমি ছাড়তে বাধ্য হলাম। কারণ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভোটের আগে অভিনয় এবং রাজনীতি একসঙ্গে ব্যালেন্স করা সম্ভব নয়। এতে দুটো কাজেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে আমার মনে হয়। আর এইজন্য কিন্তু আমার মধ্যে কোনও খারাপ লাগা নেই। কারণ আমি কোনও কাজ করার পর আর সেটা নিয়ে রিগ্রেট করি না। আমি খুব খুশি হয়েই রাজনীতির ময়দানে নিজের দায়িত্ব পালন করছি। এত মানুষের বিপদের দিনে পাশে থাকতে পারছি। তাঁদের জন্য কাজ করতে পারছি। খুব উপভোগ করি এই জিনিসগুলো। আমি রাজনীতিতে ১০০ শতাংশ দেওয়ার জন্যই বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছি।”
[আরও পড়ুন: রাজের জন্য মাছ বাজারে দরদাম মিঠুন চক্রবর্তীর, ভাইরাল ‘মহাগুরু’র কীর্তি]
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ অনুযায়ী, সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে জিতেছেন। তাঁর উপর অগাধ ভরসা মুখ্যমন্ত্রীর। আর লাভলিও সেই ভরসা রেখেছেন। নিজের এলাকার জনসংযোগ থেকে শুরু করে উন্নয়নের কাজ, সবই করেন নিজে। পাশাপাশি দলের কর্মসূচিতেও নিয়মিত তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু তাঁর মতোই সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা সক্রিয় নন বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন লাভলি মৈত্র। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে বুথ কর্মী, সদস্যদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সম্প্রতি অভিনেত্রী বিধায়ক। বলেছিলেন, “লোকসভা ভোটে হারলে ইস্তফা দেওয়াব।” লাভলি মৈত্র যে মাত্র তিন বছরেই দুঁদে নেত্রী হয়ে উঠেছেন, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।