সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেইশের বড়দিনে বক্স অফিসের অঙ্কটা সত্যিই কঠিন হতে চলেছে। কারণ ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ‘ডাঙ্কি’ (Dunki)। আর ওই একই দিনে রিলিজ করছে প্রভাসের ‘সালার’। দুই তরফেই মুক্তির দিনক্ষণে অফিশিয়াল সিলমোহর বসানো হয়েছে। আর বলিউড বনাম দক্ষিণী দুই তারকার বক্স অফিস যুযুধান নিয়েই কপালে ভাঁজ সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষকদের।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল যে শাহরুখের কেরিয়ারে ম্যাজিক ফিগার, ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’-এর বক্স অফিস অঙ্কই সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। দুটি ব্লকবাস্টার উপহার দেওয়ার পর এবার বড়দিনে ‘ডাঙ্কি’র পালা। উপরন্তু পরিচালক রাজকুমার হিরানি এবং শাহরুখ সমীকরণ। অতঃপর বড়দিনে সিনেপর্দায় যে বড় চমক পেতে চলেছেন দর্শকরা, তা হলফ করে বলা যায়।
অন্যদিকে, প্রভাসের (Prabhas) এখন মন্দা বাজার। বক্স অফিসে ‘আদিপুরুষ’ ঢাহা ফ্লপ। উপরন্তু সিনে সমালোচকদের কলমেও ভাল নম্বর জোটেনি। প্রতিবেশী দেশেও বিতর্কের মুখে পড়েছিল প্রভাসের এই ছবি। সেই আবহে মুক্তি পাওয়া ‘সালার’ (Salaar)-এর টিজারেও মুখ দেখা যায়নি দক্ষিণী সুপারস্টারের। অতঃপর বাহুবলী যে বক্স অফিসের লড়াইয়ে জিততে মরিয়া হবেন, তা বলাই বাহুল্য। আর সেই প্রেক্ষিতেই সিনে সমালোচকরা আগেভাগে প্রভাসকে সতর্কবাণী দিয়ে দিলেন। অনেকেরই দাবি, “শাহরুখের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামা হয়তো বুদ্ধিমত্তার হবে না। যদিও ‘সালার’ নির্মাতারা রিলিজের দিন নড়চড় করতে নারাজ! শুক্রবার টুইট করে তাতে সিলমোহরও বসিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: শাহরুখ যেন বলিউডের ‘পরশপাথর’, এবার বিশাল ভরদ্বাজের সিরিজেও কিং খান]
বক্স অফিসে ‘ডাঙ্কি’ বনাম ‘সালার’ (Dunki vs Salaar) প্রসঙ্গে জনপ্রিয় সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শের মন্তব্য, “মোটেই ভাল না। ইন্ডাস্ট্রির জন্য অন্তত স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এতে ব্যবসা ভাগাভাগি হবে। তাছাড়া হলে শো টাইমিং ভাগ করা নিয়েও চিন্তায় পড়বেন মালিকেরা। রিলিজের আগেই একটা তিক্ততার সৃষ্টি হবে। ওদের উচিত ছিল অন্য কোনও দিন নির্বাচন করা। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চয় আছে। তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে ভাবলে ফলাফল ভাল নয়। ‘ডাঙ্কি’ তো আগে থেকেই ঘোষণা করে দিয়েছিল যে ২২ ডিসেম্বর রিলিজ করবে। ‘সালার’ নির্মাতাদের অন্তত বুঝেশুনে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।”
আরেক সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষক রমেশ বালা বলছেন, “দেশে হয়তো ১০ হাজার স্ক্রিন রয়েছে। এবার ‘ডাঙ্কি’ না ‘সালার’ কোন শো কে নেবে? সেটা ভাগাভাগি হবে। অন্তত ওপেনিং ডে-র ব্যবসাটা মাঠে মারা যাবে! কারণ সবাই তো আর একদিনে ২টো সিনেমা দেখতে যাবেন না। এক্ষেত্রে আমজনতার পকেটের কথাও মাথায় রাখতে হবে।”