মলয় কুণ্ডু: লকডাউনের (Lockdown) বেড়েছে নিজস্ব গাড়িতে যাতায়াতের প্রবণতা। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাসে দূষণের (Pollution) মাত্রা। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রুটের যাত্রাপথে পরিচিত বা বন্ধুবান্ধবরা একসঙ্গে ‘শেয়ার’ করলে সমস্যা অনেকটাই কমবে। সেই লক্ষ্যেই এমন ভাবনা ছড়িয়ে দিতে চাইছে রাজ্যের পরিবেশ দপ্তর।
দীর্ঘ লকডাউনে শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা কমে গিয়েছিল অনেকটাই। কিন্তু করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি যত স্বাভাবিকের দিকে এগিয়েছে, ততই গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে রাস্তায়। পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, দু’চাকার যান, মোটরবাইক, স্কুটি বিক্রি এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার থেকে বাঁচতে অন্যান্য লোকের ছোঁয়াচ এড়াতে নিজস্ব গাড়িতে চড়ার প্রবণতাও অনেকটাই বেশি হয়েছে। ফলে এক ধাক্কায় রাস্তায় নামা গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। যানজট বাড়ায় দূষণের মাত্রাও বাড়ছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে।
[আরও পড়ুন: শাল-মহুলের জঙ্গলে বারবার অগ্নিকাণ্ড, বিপন্ন বন্যপ্রাণ, উদাসীন বনদপ্তর]
এমত পরিস্থিতিতে বায়ু দূষণে লাগাম পরাতে এবার শহরের বাসিন্দাদেরই এগিয়ে আসার ‘টিপস’ দিচ্ছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বন্ধুদের সঙ্গে গাড়ি শেয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। কারণ, পর্ষদের মতে, যত কম সংখ্যক গাড়ি বের হবে, ততই কমবে গাড়ি থেকে নিঃসৃত দূষণের মাত্রা। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশবিদ সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের ব্যাখ্যা, “লকডাউন পরবর্তী সময়ে হঠাৎ করেই গাড়ির সংখ্যা যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। গণপরিবহণে উঠব না, এমন একটা মানসিকতায় মানুষ নিজের গাড়ি ব্যবহার করা বাড়িয়ে দিয়েছেন। গাড়ি শেয়ার করে যাওয়ার উদে্যাগ খুবই ভাল। এমনটা বিদেশে তো আছেই। আমাদের দেশেও দক্ষিণের রাজ্যে এই উদাহরণ দেখা যায়। তবে এর একটা নির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকলে তা ভালভাবে বাস্তবায়িত করা সম্ভব।”
কারপুল তো ছিলই, অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এক গাড়িতে একসঙ্গে সবাই মিলে অফিস যাওয়ার বিষয়ও ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। করোনা আতঙ্ক ‘হাইজিন’ বজায় রাখার বিষয়ে বাড়তি সতর্ক করেছে অফিসযাত্রীদের। তাই সেক্টর ফাইভ থেকে রাজারহাট কিংবা ডালহৌসি থেকে যাদবপুর, সর্বত্র পরিচিতদের গাড়িতে একসঙ্গে যাওয়া অনেকটা দুশ্চিন্তা কমিয়েছে বলেই মত তাঁদের। একসঙ্গে সুরক্ষাও মানা যাচ্ছে, আবার পকেটে চাপ পড়ছেও কম।