সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর একটা বছর কাটিয়ে ফেলল বিশ্ববাসী। সবেমাত্র নতুন বছর ২০২২ সালে পা দিল সকলে। কিন্তু জানেন কি, আফ্রিকার এই দেশে গেলে আপনাকে পিছিয়ে যেতে হবে ৮ বছর। সে দেশে পা রাখা মাত্র আপনি পৌঁছে যাবেন ২০১৪ সালে। কী ভাবছেন, ম্যাজিক কিংবা টাইম মেশিনের গল্প শোনাচ্ছি? একেবারেই নয়, এটা কোনও কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়, বরং চরম সত্যি।
আফ্রিকা মহাদেশের খরা-দুর্ভিক্ষ-সন্ত্রাস পীড়িত এই দেশটিতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। বিশ্বের গভীরতম এবং দীর্ঘতম গুহাও রয়েছে এই ‘পোড়া’ দেশে। আবার বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থানও এই অঞ্চলে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ এই দেশটি পাশ্চাত্যের প্রচলিত ক্যালেন্ডার থেকে ৮ বছর পিছিয়ে রয়েছে। দেশটির নাম ইথিওপিয়া (Ethiopia)। কিন্তু কেন সে দেশের ক্যালেন্ডারে দিনক্ষণের হিসেব এমন গোলমেলে?
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাদের ‘বিদ্রোহ’ অব্যাহত! এবার যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শঙ্কুদেব পাণ্ডা]
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আগে চলত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। পরে যিশু খ্রিস্টের জন্ম সাল অনুযায়ী বর্ষ গণনা শুরু হয়। কিছু দেশ এই গণনার বিরোধিতা করেছিল। ইথিওপিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম। আর তাই বর্তমানে প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সঙ্গে তাদের ফারাক থেকেই গিয়েছে। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সঙ্গে অবশ্য পুরোটা মেলে না। বরং নিজেদের নিয়মেই চলে ইথিওপিয়ার ক্যালেন্ডার।
ক্যালেন্ডার চলে বিশেষ নিয়মে। আমাদের যেখানে ১২ মাসে বছর হয়, ওদের বছর ঘোরে ১৩ মাসে। ১১ সেপ্টেম্বর পালন হয় নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে। বছরটি লিপ ইয়ার হলে ১২ সেপ্টেম্বর হয় বর্ষবরণ। বিশ্বের নিরিখে যখন ২০০৭ সাল তখন আফ্রিকার এই দেশটিতে নতুন শতাব্দীর সূচনা হয়েছিল। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটি মাস-ই হয় ৩০ দিনে। শুধুমাত্র শেষ মাসটা বাদ। এই মাসটিতেও রয়েছে এক বিশেষ ব্যাপার।
[আরও পড়ুন: মেলেনি প্রথম মেসেজের রিপ্লাই, ১১ বছর পর সেই ‘স্বপ্নসুন্দরীকে’ই বিয়ে করলেন চিকিৎসক]
গ্রিক ভাষায় ‘প্যাগিউম’ বা ইংরেজিতে ‘ফরগটেন ডেজ’ নিয়ে ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডারে তৈরি হয় একটি আস্ত মাস! এই মাসে থাকে মোটে ৫-৬ দিন। তাই প্রাকৃতিক আশ্চর্যে ভরা আফ্রিকার এই দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে খুব সাবধান। ভাল করে ক্যালেন্ডার দেখে অঙ্ক কষে তবেই হোটেল বুক করবেন কিন্তু!