shono
Advertisement

Breaking News

তাইগ্রে বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছেন WHO প্রধান, বিস্ফোরক অভিযোগ ইথিওপিয়ার

করোনা মহামারীর আবহে এই অভিযোগ নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
Posted: 03:40 PM Nov 20, 2020Updated: 03:48 PM Nov 20, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাইগ্রে বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস। তিনি নিজেই তাইগ্রে সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (TPLF) -এর সদস্যদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দিক থেকে বিদ্রোহীদের তিনি কূটনৈতিক সাহায্য করছেন বলেও দাবি করেছেন ইথিওপিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল বিরহানু জুলা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তাইগ্রে (Tigray) সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইথিওপিয়ার সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছেন। তিনি একজন অপরাধী। টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুসের নামে এই অভিযোগ জানালেও এর স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ অবশ্য দেননি জেনারেল বিরহানু জুলা।

[আরও পড়ুন: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ফের তাইওয়ান সফরে মার্কিন আধিকারিক]

এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)’র প্রধান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এপ্রসঙ্গে টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) টুইট করেন, আমি ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে মদত দিচ্ছি বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আমি আগাগোড়া একটা পক্ষেই আছি, তা হল শান্তি। এর জন্য তাইগ্রে বিদ্রোহীদেরও আমি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের পরামর্শ দিয়েছি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ, তাইগ্রে সম্প্রদায়ভুক্ত টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস ২০০৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়া (Ethiopia)’র স্বাস্থ্য ও বিদেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তখন ইথিওপিয়ার রাজনীতির মূলস্রোতেই ছিল তাইগ্রে বিদ্রোহীরা। কিন্তু, ২০১৮ সালে আবি আহমেদ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই বদলে যায় ছবিটা। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিবাদের মীমাংসা করে সবচেয়ে কমবয়সী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতে নেন আবি। কিন্তু, দেশের অভ্যন্তরে থাকা তাইগ্রে প্রদেশে শান্তি ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নেননি তিনি। বরং তাইগ্রে বিদ্রোহীদের ধ্বংস করতে প্রচণ্ড দমনপীড়ন চালান। এর ফলে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

[আরও পড়ুন: ‘ইতিহাসের অন্যতম দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রেসিডেন্ট’, নাছোড়বান্দা ট্রাম্পকে বেনজির কটাক্ষ বিডেনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement