সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত অস্বস্তিতে স্পেন। ইউরোর (Euro Cup 2024) সেমিফাইনাল যুদ্ধের আগে প্রবল চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ লুইস ডে ফুয়েন্তে। চিন্তার প্রধান কারণ, চোট এবং কার্ড সমস্যা। কোয়ার্টার ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর আয়োজক জার্মানিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠলেও দলের অন্যতম ভরসা পেদ্রি মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। তিনি প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। দানি কারভাজল এবং রবিন লে নরম্যান্ড দু’টি হলুদ কার্ড দেখে বসে আছেন। ফলে সেমিফাইনালে সম্ভবত নাচো এবং জেসুস নাভাসকে খেলাতে পারেন ফুয়েন্তে। শুধু তাই নয়, চোটের কবলে পড়েছেন দানি ওলমো এবং ফ্যাবিয়ান রুইজ। স্প্যানিশ শিবির সূত্রে খবর, ওলমোর চোট খুব একটা গুরুতর নয়। তিনি সম্ভবত সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন। রুইজ যদি সুস্থ হয়ে না ওঠেন, তা হলে শুরু থেকেই খেলতে পারেন মিকেল মেরিনো।
[আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ের পর ১২৫ কোটি টাকা ঘোষণা বিসিসিআইয়ের, কার কপালে জুটল কত?]
এদিকে, জার্মানির বর্ষীয়ান তারকা টনি ক্রুজের ট্যাকেলে এবারের মতো ইউরো অভিযান শেষ হয়ে গিয়েছে পেড্রির। কুৎসিত ট্যাকেলের জন্য ক্রুজ ক্ষমাও চেয়েছেন পেদ্রির কাছে। বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডারের হাঁটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রুজ বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি পেদ্রিকে আঘাত করেননি। এর জবাবে তরুণ স্প্যানিশ তারকা জানিয়েছেন, তিনি সাইডলাইন থেকেই দলকে উৎসাহ দেবেন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা জেমি ক্যারঘার নিজের কলমে লিখেছেন, স্পেন সেমিফাইনালে ভীষণভাবেই ইংল্যান্ডকে চেয়েছিল। কারণ, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তারা অনেক বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারত। যদিও তা ঘটেনি। স্পেনকে খেলতে হচ্ছে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে।
চোট-আঘাত এবং কার্ড সমস্যা নিয়ে চিন্তায় থাকলেও স্প্যানিশ শিবিরের আত্মবিশ্বাসে এতটুকু চিড় ধরেনি। বরং ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামার আগে ফুটবলারদের উপর ভরসা রাখছেন কোচ ফুয়েন্তে। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘স্পেনকে দেখে মনে হচ্ছে জয়ী ঘোড়া। যেভাবে ফুটবলাররা খেলছে, তাতে কোচ হিসাবে আমি গর্বিত। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে বদ্ধপরিকর।’’ সামনেই সেমিফাইনাল ম্যাচ। ফুয়েন্তের আশা তাঁরা আরও দূর এগোবেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই দলটার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। নিজেদের পারফরম্যান্সে আমরা খুশি। ফ্রান্সের বিরুদ্ধেও আমরা ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করব।’’ জার্মানির বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল করে সতীর্থদের কাছে নায়কের মর্যাদা পাচ্ছেন মেরিনো। তবে এই সাফল্যের জন্য নিজেকে মোটেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন না। মেরিনো জানিয়েছেন, ‘‘আমার গোলে দেশ জিতেছে ঠিকই, কিন্তু আমরা একটা পরিবারের মতো। এই গোলের পিছনে সবার অবদান আছে। আমাদের আরও ভালো পারফর্ম করতে হবে। সামনে সেমিফাইনাল। সেখান কঠিন লড়াই। সেই লড়াইয়ে আমাদের সফল হতেই হবে।’’