সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের মতো রাশিয়াকে (Russia) ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা দেশ’ বলে আখ্যা দিল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। তাদের দাবি, যেভাবে রাশিয়া ইউক্রেনের হাসপাতাল, পারমাণবিক ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র, স্কুল ও শেল্টারগুলিতে হামলা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে তা জঙ্গি হামলারই শামিল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
এদিন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই নিয়ে ভোটাভুটি হয়। দেখা যায় অধিকাংশ ভোটই পড়েছে রাশিয়াকে ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা দেশ’ বলার পক্ষে। তবে এই পদক্ষেপ আসলে ‘প্রতীকী’। এর ফলে রাশিয়ার উপরে কোনও রকম আইনি নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে না। ফলে আপাত ভাবে এই আখ্যার কোনও প্রভাব সরাসরি রাশিয়ার উপরে পড়বে না।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ করতে গেলেই আদালতে স্থগিতাদেশ, বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর]
তবে এই অভিযোগে চটেছে রাশিয়া। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামের এক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আমার প্রস্তাব ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে মূর্খতায় মদতকারী দেশ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হোক।’ এদিকে স্বাভাবিক ভাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে সমর্থন করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘রাশিয়াকে অবশ্যই সব স্তরে সমস্ত কিছু থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত। ইউক্রেন ও বাকি বিশ্বে তারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, রাশিয়ার এই আক্রমণ অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকের জীবনে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে গত মাসের এক রিপোর্টে বলা হয়, লড়াইয়ের জেরে ইউক্রেনের (Ukraine) চারটি রুশ অধিকৃত অঞ্চল– ডোনেৎস্ক, লুহানস্ক (একত্রে দোনবাস), জাপরজাই ও খেরসন থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে অন্তত পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের, তেমনই অভিযোগ তুলেছে রাশিয়াও। অক্টোবরে ক্রাইমিয়ার সঙ্গে রুশ ভূখণ্ডের সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এই ঘটনায় সরাসরি ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন পুতিন (Vladimir Putin)। বলেন, “এই ঘটনাটি আসলে জঙ্গি আক্রমণ। ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তরের কারসাজির ফলেই সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।”