সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে প্রচণ্ড অত্যাচার চালায় বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছে পাকিস্তান। সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা না করায় সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। চিনের মদতে মুসলিম দুনিয়ায় আলাদা একটি অক্ষ তৈরির চেষ্টাও শুরু করেছে। ঠিক সেই সময়েই ইমরানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হল দ্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি রিসার্চ সার্ভিস (EPRS) নামে আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন। বালুচিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর তারা যে অকথ্য অত্যাচার করছে তার তীব্র প্রতিবাদ করল। আর এই বিষয়ে ইউরোপের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত ওই সংগঠনটি হাতিয়ার করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের একটি রিপোর্টকে।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (HRCP) -এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বালুচিস্তানের কোয়েট্টায় বসবাসকারী হিন্দু এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা খুব ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কমিশনের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তার প্রমাণও পেয়েছেন। বালুচিস্তানের গওয়াদারের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষা। যদিও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীদের ওপর হামলার সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে কমে গেছে। তবুও তারা এখনো আতঙ্ক নিয়ে সেখানে বাস করছে বলে জানা গেছে।
[আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ক্রাইস্টচার্চ গণহত্যার আততায়ীর ]
ইউরোপের ওই সংস্থার তরফে এপ্রসঙ্গে ২০১৯ সালে প্রকাশিত মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে থাকা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এবং মার্কিন সরকারের তরফে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি শিয়া মুসলিম এবং শিয়া হাজারার মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে বালুচিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা নিজেরাই স্বশস্ত্র আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল বালুচিস্তানের মাক্রান এলাকায় ১৮ জন দুষ্কৃতী একটি বাসে হামলা চালিয়ে ১৪ জন যাত্রীকে হত্যা করে। এখনও প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানের সেনার উপর হামলা চালায় তারা।