সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৭২, মিউনিখ অলিম্পিক। ইজরায়েলি অ্যাথলিটদের অত্যন্ত নৃশংস ভাবে হত্যা করে ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’। পালটা, ‘অপারেশন রাথ অফ গড’ শুরু করে মোসাদ। প্রতিশোধের সেই আখ্যান এতটাই টানটান ও নাটকীয় ছিল যে তা নিয়ে ছবি তৈরি হয়েছে হলিউডে। ফলে ইজরায়েল যে কতটা ভয়ানক প্রত্যাঘাত করতে পারে সেই কথা অজানা নয়। এই প্রেক্ষাপটে হামাস জঙ্গিদের হাড়হিম করা হুমকি দিলেন ইহুদি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
গাজা ভূখণ্ডে সেনা অভিযানের ইঙ্গিত দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “প্রতিটি হামাস জঙ্গিকে মৃত বলেই ধরে নিন। এবার আমরা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় রয়েছি। নিজেদের ঘর বাঁচাতে একজোট হয়ে লড়াই করব আমরা।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, হামলার পর মাত্র দিন তিনেকের মধ্যেই ৩ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মজুত করেছে ইজরায়েল। গাজা প্রাচীর সংলগ্ন এলাকায় জমা হয়েছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ির বহর। ফলে গাজায় ঢুকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চলেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস বলে ধারণা। আগেই হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই ভূখণ্ডে খাবার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জোগান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইয়োআভ গালান্ত। ফলে হাহাকার শুরু হয়েছে গাজায়। ইজরায়েলি বিমান হানায় গাজা প্রায় ধবংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই অঞ্চলের শেষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। খাবার, ওযুধ নেই। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে। মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই।
[আরও পড়ুন: তিন দিক থেকে আক্রান্ত ইজরায়েল, অস্তিত্বের লড়াইয়ে ইহুদি রাষ্ট্র?]
গত শনিবার থেকে ইজরায়েলে বেনজির হামলা শুরু করেছে প্যালেস্টাইনের সুন্নি জঙ্গি সংগঠন হামাস (Hamas)। গাজা থেকে ইজরায়েলি ভূখণ্ডে হাজার হাজার রকেট ছুড়ছে ইরানের মদতপুষ্ট ওই সংগঠনটি। ইজরায়েলে ঢুকে অনেককে বন্দি করেছে হামাস বলেও খবর। তাদের গাজায় জঙ্গিদের ডেরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের কমপক্ষে ১২০০ নাগরিক। নিহত হয়েছেন ৫০ জন সেনাও। গাজায় জঙ্গিঘাঁটিতে ইজরায়েলের গোলাবর্ষণে প্রাণ হারাতে হয়েছে প্রায় ১১০০ জনকে।