সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লােকসভা ভোটের মাঝেই বিহারের রাজনীতিতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত ৭ মাস ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় এইমসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। পুরনো স্মৃতিচারনা করে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। শোকপ্রকাশ করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দুবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর কুরসি সামলেছেন সুশীল মোদি। বিজেপি-জেডিইউ সরকারের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহল বলে, বিজেপি ও নীতীশ কুমারের দলের মধ্যে যোগসূত্রের দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ, হাই কোর্টে মামলা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]
নিজের স্বাস্থ্যের কারণে লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সুশীল মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে নিজেই জানিয়েছিলেন, "বিগত ৬ মাস ধরে আমি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছি। এবার জনতাকে সবটা জানানোর সময় এসেছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে আমি কিছুই করতে পারব না। প্রধানমন্ত্রীকে আমি সবটাই জানিয়েছি। তার পরেও দেশ, বিহার ও দলের প্রতি আমি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি।" গত একমাস ধরে দিল্লির এইমসের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই। ১৯৭৩ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সভাপতি হয়েছিলেন সুশীল। ১৯৯০-২০০৪ সালের মধ্যে তিনবার বিধায়ক হয়েছেন। বিহারের বিরোধী দলনেতার কুরসিতে বসেছেন। ২০০৩-২০০৫ সাল পর্যন্ত বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁর নামে মন্দির হবে’, চেন্নাইয়ের ‘ভগবান’ ধোনিকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী প্রাক্তন সতীর্থের]
বিহার রাজনীতির অন্য়তম মুখের আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহলে। এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেছেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব, হিন্দুস্তান আওয়ামি মোর্চার প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝি, উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার সিনহা-সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব।