সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুকের (Facebook) কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডে হেরফেরের অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছুদিন হল। তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের (Community standards) বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও সেই পোস্ট না মোছার অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে জুকেরবার্গের সংস্থা। কিন্তু এবার সংস্থার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাদের প্রাক্তন এক কর্মী। এমনকী, ফেসবুকের উপরে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয় নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
প্রাক্তন ওই ফেসবুক কর্মীর নাম মার্ক লাকি। ফেসবুক সম্পর্কে বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি বিধানসভার ‘পিস অ্যান্ড হারমনি’ কমিটি যে শুনানি শুরু করেছে সেখানেই এই বক্তব্য রাখেন তিনি। কমিটির তরফে একটি বিবৃতি পেশ করে এই দাবি করা হয়েছে। যদিও ফেসবুকের এক মুখপাত্রকে লাকির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
[আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে ইউটিউবের ভিডিও দেখতে সমস্যা ইউজারদের, দীর্ঘক্ষণ পর স্বাভাবিক পরিষেবা]
ঠিক কী বলেছেন ফেসবুকের ওই কর্মী? আপ বিধায়ক রাঘব চাড্ডার নেতৃত্বাধীন কমিটির সামনে লাকির দাবি, ফেসবুকের শীর্ষ পদ তাঁদেরই দেওয়া হয় যাঁদের সরকারি অথবা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযোগ ভাল। কমিটির বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ওই কর্মী ফেসবুকের আভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। মারাত্মক সত্য উদ্ঘাটন করেছেন তিনি। যার ফলে সারা পৃথিবীতে ও আঞ্চলিক ভাবে ফেসবুকের সাংগঠনিক কাঠামোর বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের বিষয়ে আপস করার কথাও ওই কর্মীর বয়ানে রয়েছে বলে দাবি করে কমিটি।
ভারচুয়াল ওই জবানবন্দিতে ফেসবুকের কর্মী দাবি করেন, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের অপব্যবহার ও নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি ফেসবুকের এগজিকিউটিভ কমিটি ভাল করেই জানে। এমনকী বিষয়টি অজানা নয় খোদ মার্ক জুকেরবার্গেরও। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘‘ফেসবুক নিজের সাফ ইমেজ বজায় রাখতে সব সময় বিশ্বকে দেখাতে যায়, তাদের উপরে কোনও রাজনৈতিক প্রভাব নেই। কিন্তু আদতে যতটা দাবি করা হয় ব্যাপারটা তা নয়।’’ ফেসবুকের নানা কনটেন্ট নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়েই তদন্ত শুরু করেছে এই কমিটি। এখনও পর্যন্ত ছ’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক ও ডিজিটাল অধিকার কর্মীরাও।