অর্ণব আইচ: করোনা টিকা (Corona Vaccine) নিলেন বিদায়ী পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা (Anuj Sharma)। তাঁর পাশাপাশি টিকা নিলেন রাজ্য পুলিশের ১০৪ জন কর্মী। সোমবার কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে হয় এই টিকাকরণ কর্মসূচি।
এদিন সকাল এগারোটা থেকে টিকাকরণ শুরু হয়। বেলা ১১টা নাগাদ প্রথম টিকা নেন বিদায়ী পুলিশ কমিশনার। তারপরই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নতুন পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) সৌমেন মিত্রর হাতে। দায়িত্ব নিয়ে সৌমেন মিত্র জানান, সাইবার ক্রাইমের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে। অনুজ শর্মার পর অন্য পুলিশকর্তারাও টিকা নেন। এদিন যে ১০৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতা পুলিশের প্রত্যেক স্তরের কর্মী ও আধিকারিক।
[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের মতো মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা! বিপদসীমার বাইরে নয় কলকাতাও ]
দুঃস্থ ও করোনা আক্রান্ত এলাকায় খাবারের ব্যবস্থা করেছেন পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা। করোনার সংক্রমণ রুখতে গিয়ে দিনের পর দিন করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। এক সময় একেক দিনে ৫০ জন পর্যন্ত পুলিশকর্মীও করোনায় (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের মোট ৪ হাজার ১৪৭ জন কর্মী ও আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এখন মাত্র তিনজন করোনা আক্রান্ত পুলিশকর্মীর চিকিৎসা চলছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বেশিরভাগই ডিউটিতে যোগ দিয়েছেন। বহু কোভিড যোদ্ধা আবার প্লাজমা দান করে করোনা আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ৩৬ হাজার পুলিশকর্মী ও আধিকারিকের নামের তালিকা টিকার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিকেলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কলকাতা পুলিশের যে ইউনিট বা ডিভিশন যে সরকারি হাসপাতালের কাছে রয়েছে, সেই হাসপাতালেই টিকাকরণ হবে। অর্থাৎ উত্তর কলকাতার থানাগুলির পুলিশকর্মীদের টিকা দেওয়া হতে পারে আর জি কর হাসপাতালে। আবার মধ্য কলকাতার ক্ষেত্রে তা হতে পারে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেইমতো সিদ্ধান্ত নিয়ে লালবাজার পুলিশকর্মীদের মেসেজ পাঠিয়ে জানাবেন, কে, কবে, কোন জায়গায় টিকা নিতে পারবেন।
ছবি: অরিজিৎ সাহা