শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে (BJP) নাম লেখালেও কয়েকমাসেই মোহভঙ্গ হয়েছে একাধিক প্রাক্তন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর। সেই তালিকায় নাম জুড়ল উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্যর। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন তিনি। ‘দিদি’র পাশে থেকে লড়াইয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। যদিও দল তাঁকে ফেরাবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্যই মেলেনি।
একুশে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখা হয়েছিল একাধিক বিষয়। টিকিট পেয়েছিলেন বহু নতুন মুখ। ফলে বাদ পড়েছিলেন দিদির অনেক পুরনো ‘সৈনিক’। দানা বেঁধেছিল ক্ষোভ। টিকিট না পাওয়ার অভিমানে দল ছেড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বহু নেতা-নেত্রীই। প্রত্যেকেই শিবির বদলে হাতে তুলে নিয়েছিলেন পদ্মপতাকা। সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু ভোটে ঘাসফুল শিবির আশাতীত সাফল্য পেতেই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে বহু দলত্যাগীর। ফলপ্রকাশের পরই উলটো সুর শোনা যাচ্ছিল অধিকাংশের গলায়। সেই তালিকাতেই ছিলেন অমল আচার্য। এবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন তিনি। নারদ কাণ্ডে চার নেতার গ্রেপ্তারির পরই প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অমলবাবু।
[আরও পড়ুন: একাধিক বিয়ে, অন্তত ৩৫ জনের সঙ্গে সহবাস! ‘প্রেমের জাল’ ছড়িয়ে অবশেষে শ্রীঘরে যুবক]
এদিন উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে দিদির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, সুব্রতবাবু, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্রদের গ্রেপ্তার করার মতো ঘটনার পর বিজেপি সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই। এটা কোন ধরনের হিংসা জানি না। মনে আঘাত পাচ্ছি। বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখে বিস্মিত হচ্ছি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি দিদিকে লড়াইয়ের শক্তি দাও। আমরা যেন তাঁর পাশে থেকে সাহায্য করতে পারি।” উল্লেখ্য, এর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহ ফিরে পেতে চেয়ে টুইট করেছেন সোনালী গুহ। দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মালদহের সরলা মুর্মুও।