সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “তালিবানকে রোজ টুইট করতে দেয়, কিন্তু আমাকে টুইট করতে দেয় না। আমার উপরই যত নিষেধাজ্ঞা।” এহেন অভিযোগ নিয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Former US President Donald Trump)। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালীনই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতেই এবার আদালতে গেলেন ট্রাম্প।
ফ্লোরিডার ফেডেরাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। আবেদনপত্রে তিনি লেখেন, “তালিবান (Taliban) রোজ টুইট করতে পারছে। নিজেদের মতাদর্শের প্রচার করছে। অথচ আমার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।” টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভারত পালটা দিতেই সুর নরম ব্রিটেনের, কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম শিথিল করার ভাবনা]
নির্বাচন পরবর্তী বেনজির হিংসার সাক্ষী হয়েছিল আমেরিকা (America)। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে সে কথার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এভাবেই টুইটার (Twitter) তাদের নীতি ও তার প্রয়োগের ব্যাপারে স্বচ্ছ থাকতে চায়। যদিও ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পরই ট্রাম্প ফের টুইট করেন তাঁর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই টুইটও মুছে দেয় টুইটার।
কী ছিল সেই টুইটে? ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি টুইটারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জানান, তারা বরাবরই বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। কিন্তু এভাবে তাঁর ও তাঁর সাড়ে সাত কোটি ‘দেশভক্ত’ ভোটারের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। অদূর ভবিষ্যতেই তিনি নিজস্ব কোনও প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসবেন। শিগগিরি এব্যাপারে কোনও বড় ঘোষণা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পরনে বিস্ফোরক ভরতি পোশাক, হাতে ডিটোনেটরস, আফগান সীমান্তে মোতায়েন ‘মানববোমা’]
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল টুইটার। তখনই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, ভবিষ্যতে ফের এই ধরনের পোস্ট করা হলে পাকাপাকিই তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরের দিন অবশ্য অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অবশেষে পাকাপাকি ভাবেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।