জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা পা রেখেছি ডিজিটাল যুগে। এখনকার কাজকর্ম সবই ডিজিটাল (Digital Medium) নির্ভর। আর সেটাই কর্মসংস্থানের মূল হাতিয়ার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাই প্রশিক্ষণেও ব্যাপক গুরুত্ব বেড়েছে কম্পিউটার শিক্ষার। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু যা ব্যতিক্রম, তা হল বনগাঁর (Bongaon) যুবক অনির্বাণ বিশ্বাসের উদ্যোগ। স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এলাকার যুবক-যুবতীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি! ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও এই কাজ তিনি করে চলেছেন। অনির্বাণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী।
দেশ-বিদেশে ডিজিটাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে কর্মসংস্থান (Employment) বেছে নিচ্ছে বহু যুবক, যুবতী। আমাদের দেশ ভারত বহুল জনসংখ্যার একটি দেশ, আর এই দেশে বহু সংখ্যক মানুষকে কর্মসংস্থানের নয়া দিশা দেখাচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যম। তবে সঠিক প্রশিক্ষণ বা স্কিল প্রচুর ব্যয়বহুল। আর সেই প্রশিক্ষণ বা স্কিল সম্পূর্ণ বিনামূল্য দিচ্ছেন বাগদার (Bagda) যুবক অনির্বাণ বিশ্বাস।
[আরও পড়ুন: ‘সকালে উঠে এটা করা মাস্ট!’, পিয়ার কাছে মধুর আবদার পরমব্রতর]
ছোটবেলায় জ্যাঠামশাইকে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে দেখেছেন অনির্বাণ। জ্যাঠামশাই বলতেন, ”শিক্ষায় মানুষের মেরুদণ্ড আর সে মেরুদণ্ড শক্ত করতে কোনও পারিশ্রমিক লাগে না।” জ্যাঠামশাইয়ের আদর্শ ধরেই এগিয়েছেন অনির্বাণ। ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে আগামী দিনে ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের পথ বেছে নিতে পারে সেই লক্ষ্যেই তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘কেমন মেয়ে বাপের খোঁজ রাখো না…’, প্রকাশ্যেই শাহরুখকন্যা সুহানাকে ধমক অমিতাভের!]
দু’বছরে ৮০০০ এর বেশি যুবক-যুবতীকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অনির্বাণ ও তার গ্রুপের সদস্যরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু যুবক, যুবতী তাঁদের সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছেন। ডিজিটাল মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপ করে বেছে নিয়েছে কর্মসংস্থান। শুধু শহর নয়, অত্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন বয়সের মানুষরা জুড়ছে ডিজিটাল মাধ্যমে সঙ্গে ছোট, মাঝারি শিল্পে ডিজিটাল প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে আরও বড় করছেন প্রান্তিক মানুষ।
দেখুন ভিডিও: