মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: শরীরে লুকিয়ে সোনা পাচারের খবর প্রায়শয়ই শোনা যায়। কিন্তু মৃতদেহ সাজিয়ে চোলাই মদ পাচারের ঘটনা শুনেছেন কখনও? এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘটল হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। যদিও শেষমেশ সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। পুলিশ এবং আবগারি দপ্তর ঘটনাস্থলে পৌঁছে চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করে করে। ৮০০ লিটার চোলাই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় চার লক্ষ টাকা। পুলিশ দেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। তাই গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।
জগৎবল্লভপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে একটি ইটভাটা রয়েছে। সেখানেই বালিশ সাদা চাদর ঢাকা দিয়ে মৃতদেহর মতো সাজিয়ে আনা হয়। পুলিশের সন্দেহ হয়। তল্লাশিতে দেখা যায়, দেহ নয়। আসলে বালিশ চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তার চারপাশে রাখা ছিল চোলাই মদের বোতল। নির্বাচনকে সামনে রেখে আবগারি দপ্তর নিয়মিত চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করতে অভিযান চালাচ্ছে। এদিন আবগারি দপ্তরের কাছে খবর পৌঁছয় হুগলি থেকে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ জগৎবল্লভপুরে ঢুকছে। তা হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হবে। খবর পেয়ে আবগারি দপ্তর অভিযান চালায়।
[আরও পড়ুন: আইনজীবী হয়ে আদালতের কর্মীদের ‘হুমকি’, বিজেপি লিগাল সেলের ভূমিকায় বিরক্ত হাই কোর্ট]
আবগারি দপ্তর ও পুলিশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন ইটভাটার পাশে পৌঁছয়। সেখানেই একটি শ্মশানে মৃতদেহ সাজিয়ে চোলাই মদ পাচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আবগারি দপ্তর ও পুলিশ শ্মশানে গিয়ে দেখে দেখে। চারপাশে বেশ কয়েকজনকেও দেখা যায়। পুলিশ দেখেই তারা চম্পট দেয়। শ্মশানযাত্রীরা ছিল চোলাই মদের কারবারী। জানা গিয়েছে, এভাবে নকল মৃতদেহ সাজিয়ে হুগলি থেকে লরিতে করে তারা চোলাই মদের জার এনেছিল। এমনকি এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল যাতে মনে হয় দেহ সৎকার করার জন্য মৃতদেহ আনা হয়েছে।