সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শিরোনামে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। আফ্রিকাকে নজরে রেখে নতুন নীল নকশা তৈরি করেছেন এই বহুল চর্চিত যুদ্ধপতি বলে খবর। শুধু তাই নয়, নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানেও নাকি মদত রয়েছে ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর।
গত জুন মাসে রুশ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। তবে শেষমেশ লড়াই থামিয়ে বেলারুশে ঘাঁটি গেড়েছেন ওয়াগনার প্রধান। অনেকেই বলছেন, পুতিনের সঙ্গে নাকি বোঝাপড়াও হয়ে গিয়েছে তাঁর। মস্কো আগেই জানিয়েছিল, মালিতে যেভাবে কাজ করছিল ওয়াগনার সেভাবেই কাজ চলবে। বলে রাখা ভাল, আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশ যেমন–সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মালি, লিবিয়া, সুদানে সক্রিয় ওয়াগনার। সিরিয়াতেও আসাদ সরকারের হয়ে লড়ছে ওয়াগনার।
[আরও পড়ুন: ঘুরছে যুদ্ধের চাকা! এবার রাশিয়ায় মিসাইল হামলা ইউক্রেনীয় ফৌজের]
এই প্রেক্ষাপটে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে প্রিগোজিনের একটি বার্তা প্রকাশ্যে এসেছে। নিজের বার্তায় নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানের সমর্থনে যুক্তি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, নাইজার পশ্চিমের উপনিবেশকারীদের দখল থেকে মুক্ত হয়েছে। সরাসরি অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও বিদ্রোহী সেনাদের মদত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রিগোজিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত মাসে এমনই এক বার্তায় নিজের সেনাদলকে নতুন আফ্রিকা অভিযানের জন্য তৈরি থাকার কথা নাকি বলেছিলেন ওয়াগনার প্রধান। বিবিসি সূত্রে খবর, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে আফ্রিকা-রাশিয়া সামিটে চলাকালীন দেখা গিয়েছে প্রিগোজিনকে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত ফ্রেডি মাপৌকার সঙ্গে নাকি সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। রাজধানী নিয়ামেতে নিজের প্রাসাদে রক্ষীদের হাতেই আটক হন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বাজুম। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা (America)। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন ও আমেরিকা। দ্রুত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বাজুমকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে তারা। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।