সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরবিআইয়ের (RBI) ২০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণায় ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতের পরিমাণ বাড়বে! দেশের ব্যাংকগুলিতে গচ্ছিত গড় আমানতের পরিমাণ সাধারণত ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যেই থাকে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আরবিআইয়ের ২০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণার ফলে তা বেড়ে ২ লক্ষ কোটি টাকা অবধি হতে পারে। তবে এই আমানত বৃদ্ধি ক্ষণস্থায়ী হবে বলেই মনে করছেন অর্থ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
১৯ মে ২০০০-এর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণাা করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। বুধবার ২৩ মে থেকে ব্যাংকে নোট ফেরাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি। গতকালই আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) আশ্বস্ত করেছেন, সেপ্টম্বরের পর সবচেয়ে বড় ভারতীয় মুদ্রা একেবারে অবৈধ হয়ে যাবে কিংবা তা ফেরানো যাবে না, এমন কথা বলা হয়নি। অতএব, হুড়োহুড়ি করতে বারণ করেছেন আরবিআই প্রধান।
[আরও পড়ুন: রাতভর ট্রাকে চেপে ঘুরলেন রাহুল গান্ধী! ভাইরাল ভিডিও দেখে তাজ্জব নেটদুনিয়া]
এদিকে জানা গিয়েছে, ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত বাজারে ২০০০ টাকার নোটের মোট পরিমাণ ছিল ৩.৬২ লক্ষ কোটি। যা মোট পরিমাণের মাত্র ১০.৮ শতাংশ। অর্থাৎ অধিকাংশ মূদ্রা ব্যক্তিগত ভাবে গচ্ছিত রেখেছিলেন নাগরিকরা। আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর তা ব্যাংকে ফিরতে চলেছে। এর ফলেই দেশের ব্যাংকগুলিতে গচ্ছিত আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেড় থেকে দুই লক্ষ কোটি অবধি বাড়তে পারে ব্যাংকগুলির আমানত।
[আরও পড়ুন: ‘মোদির টিকিটে পাপুয়া নিউ গিনির ভোটে লড়ব’, খোঁচা যশবন্ত সিনহার, পালটা বিজেপির]
প্রসঙ্গত, গতকাল আরবিআই গভর্নর বলেছেন, “প্রবল গরমে মানুষকে যাতে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলিকে।” কেন ফের নোট বদল? শক্তিকান্তর উত্তর দেন, “২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাংকের ‘কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অপারেশনে’র অংশ।” এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তাতে আমল দিতে রাজি নন আইবিআই প্রধান। তিনি জানান, যাঁরা বিদেশে রয়েছেন তাঁদের অসুবিধার বিষয়ে অবগত আরবিআই। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের এক বক্তব্যের পর জল্পনার ছড়িয়েছিল, ১০০০ টাকার নোটি ফিরিয়ে আনতে পারে সরকার। এদিন যা নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর বলেন ”বর্তমানে এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।”