সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা অতিমারী কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতেই নতুন অসুখে জর্জরিত বিশ্ব। দ্রুত গতিতে মাঙ্কিপক্স (Monkey Pox) ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ছড়াচ্ছে নয়া গুজব। কোভিড টিকা নিলে মাঙ্কিপক্স হতে পারে, এমন দাবি করা হয়েছে। ভারতে প্রচলিত কোভিশিল্ড টিকা নিলেও মাঙ্কিপক্স হতেই পারে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনে রয়েছে শিম্পাঞ্জির দেহের কোষ। যদিও সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এই কোষ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিন বিরোধী অনেকেই এই তথ্যকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ভ্যাকসিনে রয়েছে শিম্পাঞ্জির দেহের কোষ। সেই কারণেই যাঁরা অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরাই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনই (Covid Vaccine) ভারতে কোভিশিল্ড হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আশা কর্মীদের সম্মানিত করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, টুইট করে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর]
ভ্যাকসিন নিয়ে এই তত্ত্ব ছড়ানোর পিছনে মূলত রয়েছেন অ্যালেক্স জোনস। এই মার্কিন রেডিও জকির ওয়েবসাইট ‘ইনফোওয়ারস’-এর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। সেখান থেকেই দাবি করা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী কোভিড টিকা। জোনসের তরফে বলা হয়, অ্যাস্ট্রোজেনেকা আসলে কী? শিম্পাঞ্জির দেহের কোষ ভ্যাকসিন হিসাবে আমাদের দেহে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আরেক মার্কিন ভ্যাকসিন জনসন অ্যান্ড জনসন টিকাকেও দায়ী করেছেন তিনি।
তবে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনে শিম্পাঞ্জির দেহের কোষ থাকলেও তা একেবারেই ক্ষতিকর নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সঙ্গে লড়াই করতে এই ভ্যাকসিন নিতেই পারেন সকলে। মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার পিছনে ভ্যাকসিনের কোনও ভূমিকা নেই। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, শিম্পাঞ্জির দেহের কোষ থাকলেও সেটা মানবদেহের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। শিম্পাঞ্জির দেহের কোনও প্রভাব পড়বে না মানুষের শরীরে।