সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক বিস্ফোরণে কাঁপল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। সোমবার মুহূর্মুহূ এয়ার রেড সাইরেনে আতঙ্কিত শহরের বাসিন্দারা আশ্রয় নেন ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার ও এয়ার রেড শেল্টারগুলিতে।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎস্চকো জানিয়েছেন, রবিবার রাতেও শহরে আছড়ে পড়ে রুশ গোলা। আজ সোমবারও শহরে হামলা হয়েছে। কম করেও দশটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় সেনার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয়। আক্রান্ত হয়েছে সেন্ট্রাল কিয়েভের অবলন্সকাই ডিস্ট্রিক্ট। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। মেয়র ক্লিৎস্চকো বলেন, “আবারও আক্রান্ত কিয়েভ। ক্রমাগত হামলা চলছে। তবে দিনের আলোয় এহেন হামলা খুবই বিরল।”
[আরও পড়ুন: পাক জেলে মহিলা কর্মীদের ধর্ষণ! আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের আরজি ইমরানের]
উল্লেখ্য, যুযুধান দুই প্রাক্তন সোভিয়েত দেশের সংঘাত ক্রমে মাত্রা ছাড়াচ্ছে। আলোচনার টেবিলে বসার কথা বললেও অবস্থান থেকে এক ইঞ্চি নড়তেও রাজি নয় কেউই। এহেন পরিস্থিতিতে গত একক মাস ধরে লাগাতার কিয়েভে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
কয়েকদিন আগেই পূর্ব ইউক্রেনের (Ukraine) গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুট দখল করার কথা গোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত দশ মাস ধরে ৭০ হাজার নাগরিকের এই শহরের দখল নিতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে রুশ সেনা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করেছিল রুশ সেনা। তারপর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি যুদ্ধের। এর মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘ সংঘর্ষের সাক্ষী লবণ-খনির শহর বাখমুট। অবশেষে তা দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। এর আগে কিয়েভের তরফে জানানো হয়েছিল, লড়াই চলছে। তবে পরিস্থিতি ‘কঠিন’।
সূত্রের খবর, রুশ ড্রোনের পালটা এবার নিজস্ব আত্মঘাতী ড্রোন বাহিনী তৈরি করে ফেলেছে ইউক্রেন। এই নয়া ড্রোন ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। প্রায় ৭৫ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক নিয়ে উড়তে সক্ষম এই যানগুলি। ফলে রুশ ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ ইউক্রেনের অস্ত্রের আওতায় চলে এসেছে। ইউক্রেনীয় অস্ত্রনির্মাণকারী সংস্থা ‘Ukroboronprom’ গতবছর জানিয়েছিল, ড্রোন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কয়েকদিনের মধ্যেই তা সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে।