সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গায়ের জোরে তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা করছে চিন (China)। এক চাঞ্চল্যকর অডিওয় এনিয়ে রীতিমতো আলোচনা করতে শোনা গিয়েছে চিনা কমিউনিষ্ট শাসক ও সেনা আধিকারিকদের একাংশকে। জাপানে অনুষ্ঠিত কোয়াড বৈঠকের আবহে এক চ্যানেলে ফাঁস হওয়া ওই অডিওকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
[আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো, পালটা দিতে নতুন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে রাশিয়া]
সম্প্রতি ‘Lude Media’-র ইউটিউব চ্যানেলে একটি অডিও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে চিনের গুয়াংদং প্রদেশের গভর্নর, কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক, চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র মেজর জেনারেল স্তরের এক সামরিক কমান্ডারের কথোপকথনে তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনার এসেছে। দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের নিকটবর্তী মূল চিনা ভূখণ্ড গুয়াংদং প্রদেশকে ভিত্তি করেই লালফৌজ সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি চালাচ্ছে বলেও কমিউনিস্ট পার্টি এবং চিনা সেনার আধিকারিকদের আলোচনার ফাঁস হওয়া অডিও থেকে জানা গিয়েছে। গুয়াংদং প্রদেশে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার সেনা, যুদ্ধজাহাজ-সহ বিভিন্ন ধরনের ৯৫৩টি জলযান, বিপুল পরিমাণে সামরিক সরঞ্জাম এবং জ্বালানি তেল মজুত করা হয়েছে বলে ওই আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ওই অডিও ক্লিপটি বিশ্বাসযোগ্য। তাইওয়ান দখল নিয়ে আলোচনাটি রেকর্ড করেছে চিনা ফৌজ। সেখান থেকেই কোনওভাবে তা লিক হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে লালফৌজের স্থাপনার পর এই প্রথম এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য লিক হয়েছে। চিনা আধিকারিকদের আলোচনায় বারবার শিল্পকেন্দ্র গুয়াংদং প্রদেশের পার্ল হারবার ব-দ্বীপ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা উঠে এসেছে। কারণ, চিনা শিল্প ও ভারী কারখানার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে গুয়াংদং। সেখানেই চিনা টেক জায়ান্ট হুবেই ও টেনসেন্টের হেডকোয়ার্টার রয়েছে।
উল্লেখ্য, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি।