সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে কেন্দ্রের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতি মানতে রাজি হয়ে গেল অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম। কেন্দ্রের দেওয়া শর্ত মেনে ফেসবুক (Facebook), গুগল, কু, শেয়ারচ্যাট, টেলিগ্রাম, লিঙ্কডিন এমনকী হোয়াটসঅ্যাপও (WhatsApp) নতুন নিয়োগ করা নোডাল অফিসারের নাম সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে নতুন শর্তাবলী নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াকে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দেশের অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যমই বিবাদ ভুলে সেই নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে, এবং কেন্দ্রের কাছে তার বিস্তারিত পাঠিয়ে দিয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু টুইটার। তাঁরা এখনও কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমাও। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ডিজিটাল কনটেন্ট সংক্রান্ত ওই নয়া নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করার জন্য ৩ মাস সময় দিয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে গত ২৫ মে। তারপরও সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের বিবাদ অব্যাহত। ফেসবুকের তরফে নিঃশর্তে কেন্দ্রের নতুন গাইডলাইন মানার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও বেঁকে বসে হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটার (Twitter)। সরকারের নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের অভিযোগ ছিল, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কেননা নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপে করা প্রতিটি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে। একইভাবে টুইটারও জানায় ভারতের এই নয়া আইন বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের আইন মেনে চলুক টুইটার’, টেক জায়ান্টের বিবৃতির পালটা জবাব কেন্দ্রের]
কিন্তু সেসব আপত্তি উপেক্ষা করে কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারতে ব্যবসা করতে হলে দেশের আইন মেনে চলতে হবে টুইটার-সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মকে। সেই মতো হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক-সহ অধিকাংশ সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপই কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে চলার ব্যাপারে সম্মতি জানাল। যদিও, টুইটারের তরফে এখনও কেউ যোগাযোগ না করায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।