সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকটক (TikTok) বনাম মেটা। দুই সংস্থার লড়াই জমে উঠেছে। ২০২০ সালেই টিকটকের মতো রিলসের আবির্ভাব ঘটেছিল ইনস্টাগ্রামে। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকেও (Facebook) দেখা মিলেছে শর্ট ভিডিওর। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেটার মতো সংস্থাকে অস্বস্তিতে রেখে হু হু করে জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে ভারতে নিষিদ্ধ অ্যাপ টিকটকের। একটা তথ্য বলছে, বছরের প্রথম তিন মাসের হিসেবে জনপ্রিয়তায় শীর্ষেই রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিসংখ্যানে একেবারেই খুশি নয় মেটা। আর তাই শর্ট ভিডিও অ্যাপ হিসেবে টিকটককে টেক্কা দিতে মরিয়া হয়েই ফেসবুকে বড় পরিবর্তন আনতে চাইছে মেটা।
কী ধরনের পরিবর্তন? এক টেকনোলজি ওয়েবসাইটের দাবি, টিকটকের বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তায় অস্বস্তিতে মেটা। আর তাই এবার ফেসবুক তার অ্যালগরিদম বদলানোর পরিকল্পনা করেছে। যার সাহায্যে ইউজারদের বেশি পরিমাণে কন্টেট সরবরাহ করা হবে। এমনকী, যে কন্টেন্টের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র নেই, সেই কনটেন্টও ফুটে উঠবে ফেসবুকের টাইমলাইনে। অর্থাৎ টিকটকের ‘ফর ইউ’-এর মতোই এবার ফেসবুকে এমন কনটেন্টও দেখা যাবে যেটি আপনার ফ্রেন্ড লিস্টের বাইরে থাকা ইউজারের।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস]
তাছাড়া ফেসবুক ও মেসেঞ্জার আর আলাদা আলাদা অ্যাপ থাকছে না বলেও দাবি রিপোর্টের। সব মিলিয়ে ফেসবুককে একটি ‘ডিসকভারি ইঞ্জিন’ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় মেটা। এর আগে এই শব্দবন্ধ শোনা গিয়েছিল মার্ক জুকেরবার্গের মুখেও। সব মিলিয়ে মেটা ফেসবুককে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখেছে তা হল রিলকে সফল করে তোলা, মেসেজ-নির্ভর শেয়ারিংকে আনলক করা এবং বিশ্বমানের টেকনোলজি ব্যবহার করা।
এর আগে স্ন্যাপচ্যাটের সঙ্গে টক্কর নিতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ‘স্টোরিজ’ নিয়ে আসে মেটা। সেই পরিকল্পনা সফলও হয়েছে। এবার টিকটককে হারাতে নয়া পদক্ষেপের ফলে কী হয় সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।