সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) সংক্রান্ত যত ভুয়ো পোস্ট রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে তা সরিয়ে নেবে ফেসবুক। বৃহস্পতিবার রাতে একথা জানানো হয়েছে ফেসবুকের (Facebook) তরফে। এর আগেও তারা এক দফায় কয়েক হাজার পোস্ট সরিয়েছে, যেখানে করোনা সংক্রমণ নিয়ে নানা ভুল তথ্য দেওয়া ছিল।
ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু ষড়যন্ত্র চলছে। সেই কারণেই ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। যারা দাবি করছে যে করোনার ভ্যাকসিন তাদের করায়ত্ত, সেই বিষয়ক সমস্ত ছবি এবং পোস্ট সরিয়ে দেওয়া হবে ফেসবুক থেকে। বেশ কিছুদিন ধরেই ভুয়ো পোস্ট এবং খবরে ছাঁকনির কাজ করছে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট। ফেসবুক ছাড়াও এই সংস্থার ছাতার তলায় রয়েছে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ।
[আরও পড়ুন: এত দামি! হিরে-জহরতে তৈরি ইটালীয় সংস্থার হাতব্যাগটি সত্যিই অনন্য]
এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসরণ করছে ফেসবুক। এখনও পর্যন্ত একমাত্র ব্রিটেন করোনা ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে বরিস জনসনের প্রশাসন। এর বাইরে কোনও গবেষণা সংস্থা বা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। ফেসবুকের তরফে বলা হয়েছে, বেশ কিছু ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে বলা হচ্ছে শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে ওষুধ প্রয়োগ বা ওই ধরনের নানা মনগড়া পদ্ধতির কথা।
সংস্থার ব্লগসাইটে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘ভিন্নতর পথে এ ধরনের খবর সরিয়ে, ভুল তথ্য থেকে মানুষকে দূরে রেখে আমরা আদতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে চাইছি। মাইক্রোচিপের মাধ্যমে বা অন্য কোনও ভ্যাকসিনের কথা বলা হচ্ছে যার মধ্যে আদতে ভ্যাকসিনের কোনও উপকরণ নেই, তেমন সমস্ত তথ্য আমরা সরিয়ে দিচ্ছি।’
[আরও পড়ুন: ভেষজ রং, সুতোর সূক্ষ্ম কারুকাজ, বঙ্গের শিল্পীদের হাতে তৈরি এসব শাড়ির দাম জানেন?]
এছাড়াও বেশ কিছু ষড়যন্ত্রমূলক পোস্ট করা হচ্ছে ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়ে। ফেসবুক জানাচ্ছে, ‘কিছু সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে যেখানে বলা হচ্ছে তাদের অনুমোদন ছাড়াই তাদের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে ট্রায়াল পর্বে। তেমন তথ্যও আমরা রাতারাতি সরিয়ে দিচ্ছি। যেহেতু এখনও পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি তাই এই ধরনের নিয়মও রোজ অদলবদল করা হবে। ভুয়ো তথ্য সরানোর ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রকের নির্দেশই চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য করা হবে।’