সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : গোটা বিশ্বে বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়া ঘৃণা ও সন্ত্রাসের আরেকটি নজির দেখল শুক্রবারের নিউজিল্যান্ড। দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করল এক আততায়ী। আর সেই হত্যাকাণ্ডের প্রতিটি মুহুর্ত সরাসরি সম্প্রচার করল সোশ্যাল মিডিয়া লাইভের মাধ্যমে।
নৃশংসতায় ভরা ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটির শুরুতেই দেখা যাচ্ছে অজ্ঞাত আশ্রয়স্থল থেকে বন্দুক কোলে নিয়ে একটি গাড়ির চালকের আসনে বসেছে আততায়ী। পাশেই রয়েছে আরও তিনটি শটগান। এরপর গাড়ি চালিয়ে সে সোজা পৌঁছে গেল হ্যাগলির মসজিদ আল নূরে। এরপর গাড়ির পিছন থেকে আরও একটি বন্দুক বের করে হেঁটে গেলে মসজিদে।
[নিউজিল্যান্ডের দুই মসজিদে জঙ্গি হামলা, কোনক্রমে রক্ষা পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম]
ভিতরে তখন নমাজ পড়তে ব্যস্ত অনেক মানুষ। আর বাইরে বেরিয়ে আসছিলেন কয়েকজন। তাঁরা কিছু বুঝে ওঠার আগে সামনে থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ান ওই বন্দুকবাজ। এর জেরে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন কয়েকজন। এরপর ভিতরে ঢুকে নমাজে ব্যস্ত মানুষজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে সে। একটি বন্দুকের গুলি শেষ হতেই হাতে তুলে নেয় আরেকটি। ম্যাগাজিনও বদলায় একের পর এক। এই সময়ে প্রাণ ভয়ে পালানো মানুষগুলোকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যার দৃশ্য হার মানাবে ভিডিও গেমকেও।
[এবার মিশন মায়ানমার, রোহিঙ্গা জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা]
প্রায় সাড়ে ৬ মিনিটের মধ্যে ওই মসজিদের আশপাশে যাদের পেয়েছেন তাঁদেরই মেরেছে ওই হামলাকারী। মাঝে গাড়ি থেকে আরেকটি বন্দুক নিয়ে এসে বেঁচে থাকা মানুষদের উপর নির্বিচারে চালিয়েছে গুলি। গুলির শব্দ ও বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসা মানুষদের দেখে মসজিদে আর ঢোকেননি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়রা। গেলে হয়তো তাঁদের সঙ্গেও ঘটতে পারত একই ঘটনা। আল নূর মসজিদে গুলিবর্ষণের পর ফের গাড়ি নিয়ে আরেকটি মসজিদের দিকে রওনা দেয় ওই আততায়ী।
হত্যাকাণ্ডের এই লাইভ ভিডিওটি ও যে অ্যাকাউন্ট থেকে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হয়েছিল তা কিছুক্ষণ বাদেই সাসপেন্ড করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের একটি ভিডিও তাদের মাধ্যমে জনসমক্ষে আসার জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করে। অবশ্য তার আগেই নিউজিল্যান্ড প্রশাসনের তরফে ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে না দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে জনসাধারণের কাছে।
The post লাইভ করতে করতেই মসজিদে ঢুকে পড়ল ক্রাইস্টচার্চের বন্দুকবাজ appeared first on Sangbad Pratidin.