ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: SSKM কাণ্ড নিয়ে শোরগোল চারদিকে। ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “রাতে সিনিয়র ডাক্তারদের থাকা উচিত।” এরপরই বড়সড় পদক্ষেপ করল হাসপাতাল। জানানো হয়েছে, সিনিয়র ডাক্তার রাতে থাকেন, কিন্তু এবার থেকে একজন শিক্ষক চিকিৎসকও থাকবেন।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার গভীর রাতে। গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা মহম্মদ ইরফান। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। শেষমেশ মৃত্যু হয় যুবকের। চিকিৎসকরা বলেন, যুবকের ময়নাতদন্ত করতে হবে। তবে তাতে নারাজ মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন। তা নিয়ে হাসপাতালে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যুবকের পরিবারের বচসা শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতাল চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। দুই জুনিয়র চিকিৎসককে মারধরও করা হয়। এক্স রে মেশিনও ভাঙচুর করে রোগীর পরিবারের লোকজন। খবর পাওয়ামাত্রই ভবানীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বেশ কিছুক্ষণ অশান্তির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
[আরও পড়ুন: ‘মানি, গুনস অ্যান্ড গানস ফর বিজেপি’, জলপাইগুড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধারে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর]
সোমবার সকালে দিল্লি যাওয়ার আগেই ঘটনাপ্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “অল্প বয়সি যুবকের মৃত্যু হলে সকলের খারাপ লাগে। তবে এসএসকেএম ট্রমা সেন্টারে নাইট ডিউটিতে থাকা দু’জন জুনিয়ার চিকিৎসকদের মারধর করা দুর্ভাগ্যজনক। রাতে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। রাতে সিনিয়র ডাক্তারদের থাকা উচিত।” এরপরই হাসপাতালের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এবার থেকে রাতে একজন করে ফ্যাকাল্টি অর্থাৎ শিক্ষক চিকিৎসক। যদিও হাসপাতালের দাবি, বর্তমানে রাতে সিনিয়র চিকিৎসক থাকেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের হাসপাতালে অশান্তির ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক কারণে ঝামেলার খবর প্রকাশ্যে উঠেছে।পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামতে হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে।