অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ভুয়ো বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নেওয়ার চেষ্টা! জাল আবেদন ধরা পড়তেই নকল বিয়ের নাটক। হতবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে (Kharagpur)।
বিয়ের আগে রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করলে ২৫ হাজার টাকা সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়। সেই টাকা পেতেই আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন বেলদা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নবোদয় পল্লির সুলেখা দাস অধিকারী। মঙ্গলবার নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে গিয়ে বিয়ের কার্ড-সহ নথি ও আবেদনপত্র জমা দেন। ওইদিন রাতেই ছিল বিয়ের কথা। কিন্তু আচমকা তদন্তে গিয়ে হতবাক নারায়ণগড় ব্লকের বিডিও কৃশানু রায় ও জয়েন্ট বিডিও দিলবার হোসেন। পাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে দেখেন সেখানে বিয়ের কোনও আয়োজন নেই!
[আরও পড়ুন: পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ডুয়ার্সের চিতাবাঘটিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্য]
বিডিও এবং অন্যান্য আধিকারিকদের বাড়ির বাইরে দেখে মেয়েকে নববধূ রূপে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পরিবার। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে পাঁচ মাস আগে! অর্থাৎ টাকা পেতে ভুয়ো তথ্য দিয়েছেন সুলেখা দাস অধিকারী। ভুল হয়ে গিয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা স্বীকার করলেন প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনে।
ওই তরুণীর আত্মীয় প্রদীপচন্দ্র দাস প্রথমে দাবি করেন, বিয়ের কোনও তথ্য কোনও গোপন করা হয়নি। পরে তিনি আবার স্বীকার করেন তথ্য গোপন করার বিষয়টি। বিডিও তাঁদের ভুল ধরিয়েছেন বলেন তিনি। এ বিষয়ে নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায় বলেন, “আমাদের কাছে রূপশ্রীর জন্য অনেক আবেদন পত্র জমা পড়ে এবং সেগুলো খতিয়ে দেখতে হয়। আমাদের কাছে একটা খবর ছিল যে একটা ভুয়ো আবেদন পত্র জমা পড়েছে। তাই আমরা তদন্ত করতে যাই। বাড়িতে গিয়ে দেখি বিয়ের কার্ডে যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল সেই তারিখে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান নেই। বিয়েটা অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে।” তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।