সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: এলাকার ভাড়াটিয়া কারা? তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ভুয়ো সেনাকর্মী। উদ্ধার হল সেনার বহু সরঞ্জামও। ধৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও সন্দেহ বেড়েছে পুলিশের। কী কারণে সেনাকর্মীর ভুয়ো পরিচয় দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুর্গাপুরের বেনাচিতি এলাকায় ভাড়াটিয়া কারা-কারা আছেন, তাঁদের নামের একটি তালিকা তৈরি করছে পুলিশ। সেই সূত্রেই পুলিশের কাছে খবর আসে যে, বেনাচিতির সুভাষপল্লিতে দেড় মাস ধরে এক সেনাকর্মী থাকছেন। দুর্গাপুর থানার পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় শনিবার রাতে সেই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয় ছত্তিশগড়ের রাইপুরের বাসিন্দা হায়দার বেগলুকে। নিজেকে এলাকায় সেনা অফিসার পরিচয় দিতেন এই হায়দার বেগলু। ধৃতের কাছ থেকে সেনার ভুয়ো পরিচয়পত্র, সেনার পোশাক ও কমান্ডো ব্যাচ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও দু’টি এয়ার গান ও একটি বাইকও বাজেয়াপ্ত করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ২ হাজারের নোট বদলাতে লাগবে না পরিচয়পত্র, বিশেষ ফর্ম, ঘোষণা SBI-এর]
প্রাথমিক জেরায় ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে যে সে বেঙ্গালুরুর একটি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করে। বেঙ্গালুরুর কাজ করলে দুর্গাপুরে বাস কেন? এর সদুত্তর দিতে পারেনি ধৃত। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতকে রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত ধৃতের সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
এ প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত পাণ্ডে জানান,”পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ মতো বাইরে থেকে এখানে বসবাসকারীদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই এই ভুয়ো সেনা কর্মী ধরা পড়ে। ধৃত কী কারণে সেনা পরিচয় দিত তা হেফাজতে নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।”