অর্ণব আইচ: গোবিন্দ আগরওয়ালের ভুয়া সংস্থায় কতজন টাকা লগ্নি করেছেন, তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই ব্যবসায়ীর বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থার সন্ধান মিলেছে। একই সঙ্গে বহু আত্মীয় ও পরিচিতদের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন বলে খবর পুলিশের কাছে। এই তথ্যগুলি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে জেল হেফাজতে থাকা গোবিন্দ আগরওয়ালকে মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে তোলা হচ্ছে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন লালবাজারে গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল ও কয়লা পাচারে অভিযুক্ত লালার সঙ্গে গোবিন্দের যোগাযোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তাঁরা। সে নিয়ে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন : শিয়ালদহ স্টেশনের ব্যারিকেড যেন মরণফাঁদ! ভিড়ে অসুস্থ হয়ে যাত্রীর মৃত্যুতে ক্ষোভ]
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালের একটি মামলার ব্যবসায়ী গোবিন্দ আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিজেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বলে পরিচয় দিতেন। এই মামলায় অভিযুক্ত এক আয়কর কর্তাও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, আয়কর কর্তার প্রচুর টাকা গোবিন্দ আগরওয়ালের বিভিন্ন ভুয়া সংস্থা লগ্নি করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, এই পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বহু সংস্থা খুলে ছিলেন। তার জন্য বেছে নিয়েছিলেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে অনেককে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানতেন না যে, তাঁরা বিভিন্ন সংস্থার ‘কর্মকর্তা’। সংস্থাগুলিকে মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত, অভিযোগ এমনই।
[আরও পড়ুন : ‘ধর্মঘটে রাজ্যের ভূমিকা তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁত স্পষ্ট করবে’, হুঁশিয়ারি বিমান বসুর]
কেন্দ্রীয় সরকারের আরও কয়েকজন কর্তা তাঁদের টাকা এভাবে গোবিন্দ আগরওয়ালের সংস্থায় লগ্নি করেছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। সূত্রের খবর নোটিস পাঠিয়ে গত মাসে তাঁকে লালবাজারে ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা। তাঁকে প্রশ্নমালা দেওয়া হয়। লিখিতভাবে তিনি সেগুলির উত্তর দেন। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এসে সেই উত্তরগুলির ভিত্তিতে তাঁকে জেরা করা হবে। এ ছাড়াও বেনামে তাঁর কয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে, তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।