সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন জাল করে বছরের পর বছর চিকিৎসা করছিলেন আরেকজন। তাও আবার সল্টলেকের মতো অভিজাত এলাকায়। রোগী দেখার জন্য মোটা অঙ্কের ফি-ও নিতেন ওই চিকিৎসক। এভাবেই কেটে গিয়েছিল পাঁচটা বছর। কেউ কিছু বুঝতেও পারেননি। কিন্তু এভাবে বেআইনি পথে চিকিৎসা চালিয়ে শেষরক্ষা আর হল না। পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ভুয়ো চিকিৎসক(Fake Doctor)। বনগাঁ (Bongaon) থেকে তাঁকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। আজ বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে।
পাঁচ বছর আগে সল্টলেকের (Salt Lake) অভিজাত পাড়ায় চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে বসেছিলেন কৃষ্ণকুমার ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। পশারও জমেছিল ভালই। রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লিখতেন অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে। নিতেন মোটা অঙ্কের ফি-ও। কিন্তু এটা যে তাঁর বেআইনি কাজ, তা এতদিন ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। এভাবেই কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরই দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক বদল, তুঙ্গে জল্পনা]
এরপর নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক অভিযোগ করেন যে তাঁর রেজিস্ট্রেশনের নথি জাল করে কেউ চিকিৎসা করছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। চলে তল্লাশি। ততদিনে অবশ্য সল্টলেকের পাট গুটিয়ে বনগাঁয় গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কৃষ্ণকুমার ঘোষ। পুলিশ জানতে পারে, বনগাঁয় তাঁর বাড়ি। সেখানে হানা দিয়েই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। ভুয়ো নথি, চিকিৎসা – এসবের পিছনে বড় কোনও চক্র আছে কি না, সেদিকে নজর তদন্তকারীদের।
[আরও পড়ুন: ফের মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা]
বছর কয়েক আগে লেকটাউন থেকে এভাবে ভুয়ো নথির ভিত্তিতে চিকিৎসা করে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন স্বনামধন্য এক চিকিৎসক। তারপর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে তদন্তের জাল বিস্তার করেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমন বেশ কয়েকজন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তারও করা হয়। সেসময় বিষয়টি নিয়ে রীতিমত তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্যের পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রীও এ নিয়ে কড়া বার্তা দেন। পুলিশি ধরপাকড়ের ভিত্তিতে ভুয়ো চিকিৎসার চক্রে কিছুটা রাশ টানা যায়। তবে এদিন ফের সল্টলেকের এই ভুয়ো ডাক্তারের গ্রেপ্তারি আশঙ্কা বাড়াল।