বাবুল হক, মালদহ: নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রথমে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব। টানা প্রায় ৬ মাস ধরে সম্পর্ক। তার পর যথারীতি বিয়ের প্রতিশ্রুতি। আর এরই ফাঁকেই তরুণীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় যুবক। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই ভুয়ো পুলিশ অফিসার।
শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো পুলিশের ইউনিফর্ম পরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই প্রতারক যুবক গিয়েছিল 'হবু' শ্বশুরবাড়িতে। সন্দেহ হওয়ায় বাসিন্দাদের এবং থানার পুলিশকে বিষয়টি আগাম জানিয়ে রেখেছিল ওই তরুণীর পরিবার। পুলিশের পোশাক পড়েই তরুণীর বাড়ি পৌঁছয়। তখনই আড়াইডাঙ্গা অঞ্চলের লোখরা গ্রামের বাসিন্দারা তাকে নানা রকম প্রশ্ন করে জানতে চান, তার কোন থানায় পোস্টিং? কেমন পুলিশ অফিসার? অসঙ্গতিপূর্ণ উত্তর পাওয়া যায়। এরপরই মালদহের পুখুরিয়া থানার পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছয়। প্রতারণার অভিযোগে পুখুরিয়া থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ায় ৬০০ শূন্যপদ, প্রার্থী ২৫ হাজার! মুম্বইয়ে বেসামাল জনস্রোতের ভিডিও ভাইরাল]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো পুলিশ অফিসারকে ধরা হয়েছে। ধৃতের নাম আনোয়ারুল হক। তার বাড়ি মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকায়। আড়াইডাঙ্গার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে যুবকটির সম্পর্ক ছিল। মাঝেমধ্যেই আসত। গ্রামে ঘোরাঘুরি করত। এদিন সন্ধ্যায় পুলিশের পোশাক পড়েই এসেছিল। সন্দেহ করে প্রশ্ন করায় মেয়েটির বাবাকে পুলিশি-হুমকি দিচ্ছিল। তখনই বাসিন্দারা তাকে আটক করে রাখেন। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাকে পুখুরিয়া থানায় নিয়ে যায়। ওই তরুণী জানান, মাসছয়েক ধরে সম্পর্ক ছিল। সে পুলিশের চাকরি করে বলত। পুলিশের পোশাক পড়েই বাড়িতে আসত। বিয়ের কথা বলে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে ফেলেছে। পুখুরিয়া থানায় সবকিছু জানানো হয়েছে।