অর্ণব দাস, বারাসত: ফের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষিকার বদলে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে ক্লাস নিচ্ছেন তাঁর স্বামী। যিনি আবার পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেগঙ্গায়। অভিভাবকরা সরব হতেই তদন্তের নির্দেশ দেয় দেগঙ্গার ব্লক প্রশাসন।
প্রধান শিক্ষিকার বদলে স্কুলে এসে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছেন তাঁর স্বামী। বিগত কয়েকমাস ধরে এমনই হয়ে আসছে, এই অভিযোগ তুলে সোমবার দেগঙ্গার খেজুরডাঙা শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। এরপর নড়েচড়ে বসে ব্লক প্রশাসন। সূত্রের খবর, খেজুরডাঙা শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকাকে শো-কজ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পয়লা সেপ্টেম্বর শহরে মহামিছিল, ৮ অক্টোবর কার্নিভ্যাল, পুজোয় ১১ দিন ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার নুরনগর পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙা শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৮০ জন। শিক্ষিকা রয়েছেন দু’জন। সেই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা বিবি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তিনি স্কুলে আসেন না। অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে স্কুলে এসে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেন স্বামী সইদুল বিশ্বাস। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। শিক্ষক হিসেবে তার যোগ্যতাও নেই। অথচ তিনি কীভাবে স্কুলে এসে ক্লাস নিচ্ছেন, এই প্রশ্ন তুলে এদিন প্ল্যাকার্ড হাতে অভিভাবকরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান।
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে বিক্ষোভ চলার পর প্রধান শিক্ষিকার স্বামী সইদুল বিশ্বাস ভুল স্বীকার করলে আন্দোলনকারীরা সরে যান। শিক্ষক বদল প্রসঙ্গে অভিভাবক ওস্তাকিন মণ্ডল বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে আসেন না। তার পরিবর্তে স্কুলে এসে ক্লাস নেন প্রধান শিক্ষিকার স্বামী। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাছ থেকে ছাত্রছাত্রীরা কী শিক্ষা পাবে? তাই এদিন বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি।”
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষিকার স্বামী সইদুল বিশ্বাস বলেন, “আমার স্ত্রী এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তিনি অসুস্থ থাকায় আমি স্কুলে এসে ক্লাস নিই। ধারাবাহিকভাবে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে।” বিষয়টি জানার পরেই নড়েচড়ে বসে দেগঙ্গা ব্লকের প্রশাসন। বিডিওর নির্দেশে এদিনই স্কুলে গিয়ে তদন্ত করেন এক আধিকারিক। এরপরই প্রধান শিক্ষিকা শোকজ করা হয়েছে বলে খবর।