সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে প্রতিনিয়তই রাজ্যকে তুলোধনা করছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দাবি করছেন, ওই কার্ডে আদৌ পরিষেবা মিলবে না। অথচ তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে দেখা গেল স্বাস্থ্যসাথীর লাইনে! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের আদি বাড়ি ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে। এখনও সাংসদের মা, ভাই-সহ পরিবারের সদস্যরা সেখানেই থাকেন। ভাই হীরক ঘোষ গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি। তাই স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি তাঁর ভাইদের গলায়ও সর্বদাই শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী সুর। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গেও বারবার রাজ্যকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এসবের মাঝেই সম্প্রতি যেখানে গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলা হচ্ছে, সেখানে দেখা যায় হীরক ঘোষের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গবিজেপির প্রথম সারির নেতার পরিবারের সদস্যদের এই কার্ডের লাইনে নজরে পড়তেই নানারকম আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের তরফে সরাসরি আক্রমণ করা হচ্ছে দিলীপ ঘোষকেও।
[আরও পড়ুন:আরও বাড়ল দূরত্ব! দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত শিশির অধিকারী]
হীরক ঘোষ জানান, তাঁর স্ত্রী ও বাকি সদস্যরা কবে গিয়েছিলেন তা তাঁর জানা ছিল না। কারণ, তিনি গ্রামে ছিলেন না। তবে এবিষয়ে এখনও সুকেশ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি দিলীপ ঘোষও। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দিলীপ ঘোষ বুঝে গিয়েছেন দলটা মুছে যাবে। তাই ভেবেছেন আগেভাগে আত্মসমর্পণ করি। সেই কারণেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েছেন ওঁর পরিবারের সদস্যরা।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঝাড়গ্রামের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে যেখানে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের ছবি তোলা হচ্ছিল সেখানে হাজির ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথীর বাবা, মা, বোন-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য। প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ান তাঁরা। সন্ধে ৬ টা নাগাদ ছবি তোলা হয় তাঁদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগে রীতিমতো আপ্লুত বিজেপি নেতার মা ও বোন। তবে সুখময় শতপথী, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে যাননি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তুলতে।