সুবীর দাস, কল্যাণী: কল্যাণীর গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের দাদাগিরি! অসুস্থ ভাইকে দেখতে এসে আক্রান্ত হলেন বিধাননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুশান্তকুমার বালা। সিকিউরিটিদের বিরুদ্ধে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট-সহ পরিবারের তিনজনকে মারধরের অভিযোগ করেছে রোগীর পরিবার। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য হাসপাতালে। অভিযুক্ত দুই সিকিউরিটিকে গ্রেপ্তার করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ।
শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কল্যাণীর গান্ধী মোমোরিয়াল হাসপাতালে (Kalyani Gandhi Memorial Hospital) ভর্তি হন তেহট্টের বাসিন্দা অখিলচন্দ্র বালা। অসুস্থতার খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে তাঁকে দেখতে আসেন তাঁর দাদা বিধাননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুশান্তবাবু। সঙ্গে ছিল তাঁর পরিবার। হাসপাতালে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। তারপরই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের উপর চড়াও হন। চলতে থাকে ঘুষি, লাথি। বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালের সিকিউরিটিদের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: স্কুলেই শিক্ষককে মার প্রধান শিক্ষিকার! প্রতিবাদে পথ অবরোধে পড়ুয়ারা]
এমনকী হাসপাতালের ভেতরে তাঁদেরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলা অভিযোগ। ওই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিজের পরিচয়পত্র দেখালে সেই কার্ডও কেড়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পরিবার। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট-সহ আরও তিনজন। খবর দেওয়া হয় কল্যাণী থানায় (Kalyani police Station)। পুলিশ এসে অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে এ বিষয়ে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও তাঁর পরিবার।
রোগীর এক ভাই প্রশান্তকুমার বালা বলেন, " আমি বেশ কয়েকবার কার্ড দেখিয়ে খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ভাইয়ের কাছে গিয়েছি। কিন্তু একবার আমাকে আটকে দেওয়া হয়। আমাদের মধ্যে বচসা শুরু হতে নিরাপত্তারক্ষীরা আমার মুখে মারে। আমার আর এক ভাই বিধাননগরে কাজ করেন তাঁকেও মারধর করে। তাঁর মুখ ফেটে গিয়েছে।"
এক প্রতক্ষ্যদর্শী বলেন, " ওই রোগীর পরিবারকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। সেই নিয়ে মারামারি বাধে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে নিরাপত্তারক্ষীদের গ্রেপ্তার করেছে। হাসপাতালে এই রকম পরিস্থিতি কাম্য নয়।"