সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৬ বছরের শাপমুক্তি ঘটিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছেন লিওনেল মেসি। আর প্রিয় তারকাকে ভালবেসে, তাঁকে সম্মান জানাতে বড়সড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন মাইক জ্যাম্বস নামের এক ভক্ত। ঠিক করেন, কপালে খোদাই করে রাখবেন এলএম টেনের নাম। কিন্তু এখন নিজের সেই সিদ্ধান্তে আপসোস করছেন যুবক। তাঁর মনে হচ্ছে, বড় ভুল করে ফেলেছেন!
কিন্তু হঠাৎ করে কেন আক্ষেপ করছেন কলম্বিয়ার ইনফ্লুয়েন্সর মাইক? লিও মেসি কি কোনও কারণ অপছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছেন তাঁর কাছে? না, বরং কারণ একটু আলাদা। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিজেই খোলসে করলেন সে কথা। একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে বড় হরপে লেখেন, “মেসির ট্যাটু করিয়ে আপসোস হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় এক দিনে সওয়া ৩ লক্ষ বাড়ির অনুমোদন, রেকর্ড গড়ল বাংলা]
ভিডিওতে তিনি জানান, কপালে ট্যাটু করার সিদ্ধান্তটা একেবারই ঠিক ছিল না। মাইকের কথায়, “এখন ট্যাটুটা করিয়ে আপসোস হচ্ছে। ভেবেছিলাম, সবাই প্রশংসা করবে। কিন্তু উলটে সকলে ভীষণ অপমান করছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। পরিবারকেও কটাক্ষ করছে। ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি এই কথাটা বলতে হবে। কারণ ট্যাটুটা করে খুব গর্ববোধ করছিলাম। তবে এখন মনে হচ্ছে ভুলই করেছি।”
আসলে মাইক ট্যাটু করানোর পর নিজের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। যা ভালভাবে নেয়নি নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই দাবি করেন, সস্তায় লাইক পেতেই এহেন কাজ করেছেন তিনি। অনেকে আবার কটাক্ষের সুরে বলে দেন, মূর্খের মতো সিদ্ধান্ত। তার পালটা দিয়ে মাইক বলেছিলেন, “আমি তো কারও ক্ষতি করিনি। কোনও বেআইনি কাজও করিনি।” কিন্তু তাতেও নেটাগরিকদের সমালোচনা বন্ধ হয়নি।
লাগাতার বিতর্ক আর কটাক্ষের মুখে পড়ে হতাশ মাইক। বলছেন, “বুঝতেই পারছি না কেন আমার সঙ্গে এমন খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। সবাই ভাবছে ভাইরাল হওয়ার জন্য আমি এসব করেছি। নেপথ্যের অন্য কারণটা কারও চোখে পড়ছে না। রাজনীতিবিদদের থেকেও এত চাহিদা নেই, যতটা একজন ইনফ্লুয়েন্সরের থেকে করা হচ্ছে।”