সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এর আগে ভেলোর ও মাদুরাইয়ে তাঁর নামে পোস্টার পড়েছে। এবার পোস্টার পড়ল কোয়েম্বাটোরেও। রজনী মাক্কাল মান্দ্রামের সদস্যরা কোয়েম্বাটোরের রাস্তাতেও তাঁদের প্রিয় নেতার নামে পোস্টার সেঁটে দিলেন। রজনী ভক্তদের একটাই আবেদন, তাঁদের রাজ্যেও রজনীকান্ত যেন পরিবর্তনের ঝড় তোলেন। পোস্টারে লেখা রয়েছে, বর্তমান রাজনীতিতে একমাত্র রজনীকান্তই পারবেন পরিবর্তন আনতে।
২০১৭ সালেই রজনীকান্তের রাজনীতিতে প্রবেশের কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তারপর সেভাবে আর সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাঁকে। CAA নিয়েও মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন যে হয়তো এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন থালাইভা। কিন্তু এক সাংবাদিক বৈঠকে সেই জল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, এ বছরের প্রথমদিকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করলেও মুখ্যমন্ত্রী কোনওদিন হবেন না। তাঁর দল জিতলে অন্য কাউকে তিনি ওই পদের জন্য মনোনীত করবেন। তিনি শুধু তামিলনাড়ুর উন্নতি চান, এর বেশি আর কিছু না! তাঁর কথায়, "জয়ললিতা ও করুণানিধির পর রাজ্যের রাজনীতিতে একটি শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। সেটি পূরণ করতে শিক্ষিত সমাজের এগিয়ে আসা উচিত।" দল গঠন করতে তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানান থালাইভা।
[আরও পড়ুন: প্রিয় কঙ্গনার জন্য শিব সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে হুমকি ফোন! টালিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার যুবক]
যদিও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখার জন্য রজনীর ভক্তরা নাছোড়বান্দা! তাঁদের আবেদন, রজনী আন্না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের দুর্নীতি সাফ করার ক্ষেত্রে অগ্রণী নিতে পারবেন। পাশাপাশি কমল হাসান এখন দক্ষিণের রাজনীতির ময়দানে বেশ ভালরকমভাবে সক্রিয়। এবার রজনীকেও তাই সক্রিয় রাজনীতিতে চাইছেন ভক্তরা।
উল্লেখ্য, রজনীকান্ত রাজনীতিতে প্রবেশ করার পর জানিয়েছিলেন যে, তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য হল, তামিলনাড়ুতে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ে তোলা। রজনী মাক্কাল মান্দ্রামের সদস্যদের দাবি, তিনিই পারবেন রাজ্যের তরুণ প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করতে। তবে রজনীকান্তের এই পোস্টারের বিষয়ে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ স্বয়ং রজনীকান্ত কোনও মন্তব্য করেননি। এদিকে, ওই সমর্থকরা মনে করছেন, দক্ষিণের আরও কয়েকটি রাজ্যে শীঘ্রই রজনীকান্তের নামে পোস্টার পড়বে।